পড়ুয়াদের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে বিশকেকে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। ছবি: সংগৃহীত।
কিরগিজ় ও মিশরীয় পড়ুয়াদের হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গন্ডগোলে গত কাল কিরগিজ়স্তানের রাজধানী বিশকেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভারতীয় পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস আক্রান্ত হয়েছে বলেও খবর।
গোটা ঘটনায় বিপাকে বিশকেকের ভারতীয় পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই তাঁদের সতর্ক করেছে বিদেশ মন্ত্রক। ভারতীয় ছাত্রের সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী।
আনোয়ার আজ়িজ় খান নামে ওই পড়ুয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি এবং অন্য ভারতীয় পড়ুয়ারা বিশকেকের এক কাফেয় লুকিয়ে রয়েছেন। সঙ্গে বলেন, “স্যর আমরা ভারতীয় নাগরিক। খুব সমস্যায় রয়েছি।” ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী হিসেবে দাবি করা উল্টো দিকের ব্যক্তির কাছে আনোয়ারের প্রশ্ন, “ভারত সরকার তাঁদের মুক্তির জন্য কী করছে?” উল্টো দিকের কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যায়, “এত রাতে কী করব?” ভারতীয় দূতাবাসের তরফে অবশ্য পড়ুয়াদের ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত কাল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত বলে জানতে পেরেছেন। বিশকেকের ভারতীয় পড়ুয়াদের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাস পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। হেল্পলাইন নম্বরও প্রকাশ করেছে দূতাবাস।
শুধু ভারতীয় ছাত্রেরা নন, গন্ডগোলে আটকে পড়েছেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশি পড়ুয়ারাও। পাক সরকারের দাবি, ১৮ মে-র ভোরের ওই ঘটনার সময়ে ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি পড়ুয়ারা থাকেন এমন বেশ কয়েকটি ছাত্রাবাসে হামলা হয়েছে। কিরগিজ় বিদেশ মন্ত্রকের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঘটনায় কেউই গুরুতর জখম হননি।
গত কালের গোলমালের একাধিক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার কথা অস্বীকার না করলেও কিরগিজ় সরকার জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। আহতেরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন।