গুরজিৎ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।।
বিদেশে চাকরি পেয়েছে ছেলে, শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন নিশান সিংহ। এ দিকে তখনও বিদেশে যাওয়ার মতো টাকাটুকুও নেই হাতে। বেশি না ভেবে জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ছেলেকে। তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, সুদূর নিউ জিল্যান্ডে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হবে তাঁর পুত্রকে!
গত সপ্তাহে নিউ জ়িল্যান্ডের ডুনেডিনে বাড়ির বাইরে ২৮ বছরের গুরজিৎ সিংহের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গুরজিৎ পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডে একটি টেলিকম সংস্থায় টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, পাইন হিলে তাঁর বাড়ির কাচ ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছিল আততায়ী। চারিদিকে চাপ চাপ রক্ত পড়ে ছিল। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, ছুরি জাতীয় ধারালো কোনও জিনিসের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে গুরজিৎকে।
গুরজিৎকে খুনের সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৩৩ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুরজিতের বাবা নিশান ইতিমধ্যেই নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছেছেন। ছেলেকে হারিয়ে শোকে আকুল তিনি। মৃত যুবকের এক বন্ধু জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই গুরজিতের স্ত্রীর নিউ জ়িল্যান্ডে আসার কথা ছিল। তা নিয়ে খুবই উত্তেজিত ছিলেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে কুইন্সটাউনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। গুরজিতের পরিচিতরা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও শত্রু ছিল না। কেন তাঁকে খুন হতে হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পাইন হিলের সিনিয়র সার্জেন্ট অ্যান্থনি বন্ড জানিয়েছেন, ২৫ জন তদন্তকারীর দল ম়়ৃতের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। মৃত্যুর আগে গুরজিৎ কী করছিলেন, কাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।