বরুণ মণীশ ছেদাকে খুনের অভিযোগে ধৃত (ডান দিকে) জি মিন ‘জিমি’ শা। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মিটরিতে রুমমেটের হাতে খুন হলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র। এই অভিযোগে এক কোরীয় ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে ইন্ডিয়ানা পুলিশ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, ইন্ডিয়ানার পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন নিহত বরুণ মণীশ ছেদা (২০)। বরুণকে খুনের অভিযোগে তাঁর রুমমেট জি মিন ‘জিমি’ শা-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও আমেরিকার সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টা নাগাদ আপৎকালীন নম্বরে (৯১১) ফোন করে বরুণের মৃত্যুর খবর জানান জি। তবে পুলিশ এসে জি-কেই খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত জি পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সুরক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করতেন।
বুধবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশপ্রধান লেসলি ওয়েট জানিয়েছেন, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া বরুণের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইন গেম খেলতে খেলতে কথাবার্তায় ব্যস্ত ছিলেন বরুণ। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু অরুণাভ সিংহ। হঠাৎই তাঁরা বরুণের চিৎকার শুনতে পান। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারেননি বন্ধুরা। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে বরুণের মৃত্যুসংবাদ পান অরুণাভরা।
বরুণকে খুনের পিছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর বন্ধু অ্যান্ড্রু উ-র। বরুণকে ‘স্মার্ট’ ছেলে হিসাবেই চিনতেন তিনি। তবে বরুণ নাকি তাঁর নিজের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলতেন না বলে টুইটে লিখেছেন অ্যান্ড্রু।