দশ বছর ধরে নানা ভাবে সংস্থার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মীর বিরুদ্ধে। —ফাইল ছবি
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মীর বিরুদ্ধে অ্যাপলের প্রায় ২কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৭৪৭ লক্ষ টাকা) চুরির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর ২০ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা হতে পারে।
অ্যাপলের ওই প্রাক্তন কর্মীর নাম ধীরেন্দ্র প্রসাদ। দশ বছর ধরে অ্যাপলে কাজ করেছেন তিনি। অভিযোগ, এই দশ বছরে নানা ভাবে সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যন্ত্রপাতি চুরি থেকে শুরু করে ভুয়ো বিক্রির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি এমন অনেক জিনিসের জন্য সংস্থাকে টাকা দিতে বাধ্য করিয়েছেন, যা সংস্থা কখনও হাতেই পায়নি। এই সমস্ত অভিযোগের কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন ধীরেন্দ্র।
বস্তুত, ধীরেন্দ্র একা নন, তাঁর আরও দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে একই ভাবে সংস্থার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অ্যাপলে কাজ করেছেন ধীরেন্দ্র। ২০১১ সাল থেকেই শুরু হয় প্রতারণা। ধীরেন্দ্র জানিয়েছেন, ২০১৮ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে প্রতারণার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ওই বছর সংস্থার ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার ক্ষতি হয়েছে।
প্রতারণায় ধীরেন্দ্রর সঙ্গে আরও যে দু’জন শামিল হয়েছিলেন, তাঁরা হলেন রবার্ট গ্যারি হ্যানসেন এবং ডন এম বেকার। ধীরেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি বেকারের সংস্থায় অ্যাপল থেকে মাদারবোর্ড ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিলেন। অ্যাপলকে ভুয়ো বিল দেখিয়ে টাকা দিতেও বাধ্য করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, ধীরেন্দ্রর স্বীকারোক্তি, অ্যাপলের বাক্স থেকে জিনিস চুরি করে তিনি নতুন বাক্সে সেগুলি ভরতেন। তার পর আবার অ্যাপলের অফিসেই সেগুলি পাঠিয়ে দিতেন।
ধীরেন্দ্রর কীর্তি ফাঁস হওয়ার পর আমেরিকার সরকার তাঁর প্রায় ৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আদালতে এই মামলার শুনানি চলছে। আগামী ১৪ মার্চ এ বিষয়ে সাজা ঘোষণা করবে আদালত।