দেহ খুঁজতে মাচ্ছু নদীর বেশি কিছুটা অংশের জল তুলে ফেলা হয়। ছবি: পিটিআই।
ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে রবিবার মাঝরাতে ফোন পেয়ে ঘুম থেকে ধড়মড় করে উঠে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার পাটনি কৌশিক। ফোনে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি থেকে বেরিয়ে দল নিয়ে মোরবীতে পৌঁছতে হবে।
বিন্দুমাত্র দেরি করেননি কৌশিক। ২০ জন কর্মী, দু’টি বড় পাম্প নিয়ে মোরবীতে হাজির হয়েছিলেন। কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কৌশিককে? এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “রাত তখন ২টো। ফোন বেজে উঠতেই দেখলাম বস কল করেছেন। আমাকে বলা হল, পাম্প এবং দলবল নিয়ে মোরবীতে আসতে হবে। মাচ্ছু নদী থেকে জল তুলে ফেলতে হবে!”
মোরবীর দুর্ঘটনার পর দু’জনের দেহ নিখোঁজ ছিল। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যখন পাওয়া যায়নি, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০ কিলোমিটার জুড়ে নদীর জল তুলে ফেলা হবে। পাঁকের মধ্যে আর কেউ আটকে আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কৌশিক জানিয়েছেন, আট ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মাচ্ছু নদীতে পাম্প লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর ৪৮ ঘণ্টা ধরে দু’টি পাম্পের সাহায্যে ৭ লক্ষ লিটার জল নদী থেকে তুলে ফেলা হয়। আরও চারটি ছোট পাম্প লাগানো হয়েছে।
কৌশিক আরও জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব জল তুলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে দু’জন নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের দেহ কাদায় আটকে রয়েছে কি না, জল পুরোপুরি তুলে ফেলতে পারলেই তা নিশ্চিত যাবে। যদিও বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী দলের সূত্রে জানানো হয়েছে, আর কেউ নিখোঁজ নেই।