—প্রতীকী চিত্র।
আরব সাগরে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে ছিনতাই হওয়া জাহাজ জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা। জাহাজের ১৫ জন ভারতীয়-সহ ২১ জন নাবিককেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌসেনা। জলদস্যুদের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে দীর্ঘদিন ধরেই অংশগ্রহণ করছে ভারতীয় নৌসেনা। সম্প্রতি ওই এলাকায় ছিনতাই হওয়া একটি জাহাজের বার্তা পেয়ে যৌথ ভাবে উদ্যোগী হয়েছিল ভারত, স্পেন ও জাপানের নৌসেনা।
আজ নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘এম ভি লীলা নরফোক’ নামে ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি ব্রাজ়িলের পোর্ট ডু একো থেকে বাহরাইনের খলিফা বিন সলমন বন্দরে যাচ্ছিল। সেটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী। গত কাল সন্ধ্যায় জাহাজটির তরফে ব্রিটেনের জাহাজ চলাচলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউকেএমটিও’-এর পোর্টালে একটি বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, সেটিতে উঠে পড়েছে পাঁচ-ছ’জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী।
ঘটনার কথা জেনেই জাহাজটির উপরে নজর রাখতে শুরু করে ভারতীয় নৌসেনার বিমান। পাশাপাশি পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে পাঠানো হয় নৌসেনার জাহাজ ‘আইএনএস চেন্নাই’-কে। নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নৌসেনা। পরে ‘আইএনএস চেন্নাই’-এ থাকা হেলিকপ্টার উড়ে যায় ‘নরফোক’-এর দিকে। জলদস্যুদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জাহাজ ছেড়ে যেতে বলা হয়। পরে ‘নরফোক’-এর ডেকে নামে মেরিন কমান্ডোর দল। কমান্ডোরা গোটা ডেক নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ২১ জন নাবিককেই উদ্ধার করেন।
ভারতীয় নৌসেনার এক প্রাক্তন কর্তার বক্তব্য, ‘‘জলদস্যুর হামলার সম্ভাবনা থাকলে জাহাজের ক্যাপ্টেনের উচিত নাবিকদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য একটি সুরক্ষিত কক্ষের ব্যবস্থা করা।’’ এই ধরনের অভিযানের ক্ষেত্রে প্রথমে সংশ্লিষ্ট জাহাজটির উপরে নজরদারি চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। যে কোনও অভিযানের আগে ওই জাহাজের নাবিকদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় নৌসেনা।
আরব সাগরের ওই অঞ্চলে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জলদস্যুদের হামলা চরমে ওঠে। তার পরে ভারত-সহ নানা দেশের নৌসেনার যৌথ টহলদারিতে কমেছিল জলদস্যুদের উপদ্রব।