ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি : টুইটার থেকে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে দেখা করে তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। ইরানের এই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জুন মাসে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। অগস্ট মাসে তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা।
রাইসির জয়ের পরেই মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ভারত-ইরান মৈত্রীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বুধবার রাইসির জন্য মোদীরই ব্যক্তিগত বার্তা নিয়ে দেখা করেন জয়শঙ্কর। বুধবার তিনি রাশিয়া যাওয়ার পথে তেহরানে থেমেছিলেন। ঘটনাচক্রে ওই দিনই আফগান সরকার এবং তালিবানের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ইরানেই। আমেরিকান সেনা সরে যাওয়ার পরে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া কী চেহারা নেবে, সে দিকে ভারতের নজর রয়েছে। ভারতের স্বার্থও এর সঙ্গে জড়িত। সেখানে ইরানের ভূমিকা এবং ভারত-ইরান মৈত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। পাকিস্তান এবং তার পিছনে চিনের প্রভাবই যাতে উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে একমাত্র নির্ণায়ক হয়ে না ওঠে, তার জন্যও ইরানকে পাশে পাওয়া দরকার ভারতের। এই পরিস্থিতিতে মোদীর বার্তাবহ দূত হয়ে জয়শঙ্করের তেহরান পৌঁছনোকে তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাইসির সঙ্গে তাঁর ছবি পোস্ট করে জয়শঙ্কর টুইট করেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ইব্রাহিম রাইসিকে তাঁর স্নিগ্ধ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। তাঁকে মোদীর ব্যক্তিগত বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। ভারতকে নিয়ে ওঁর আবেগ অত্যন্ত মূল্যবান আমাদের কাছে। ঠিক যেমন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করা এবং সহযোগিতার প্রসারে ওঁর আগ্রহও।’’ শুধু রাইসি নয়, জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জ়ারিফেরও। সে খবর দিল্লিতে ইরানের দূতাবাস এবং তেহরানে ভারতীয় দূতাবাস, উভয়েই টুইট করে জানিয়েছে। জ়ারিফের সঙ্গে জয়শঙ্করের আলোচনাতেও আফগানিস্তান প্রসঙ্গই প্রাধান্য পেয়েছে বলে খবর।