উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য তৎপরতা। ছবি— ম্যাক্সার।
আমেরিকার পর এ বার ভারত। সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এ বার সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিশেষত পড়ুয়াদের সাময়িক ভাবে ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফেরার নির্দেশ জারি করল কিভের ভারতীয় দূতাবাস।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক বিশেষত পড়ুয়ারা, যাঁদের উপস্থিতি এই মুহূর্তে আবশ্যিক নয়, তাঁরা সাময়িক ভাবে দেশ ছাড়ুন। কারণ হিসেবে যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে। যাঁদের একান্তই সে দেশে থেকে যেতে হবে, তাঁদেরও অপ্রয়োজনীয় যাত্রা এড়িয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস।
সোমবারই আমেরিকা জানিয়েছে, তারা কিয়েভ থেকে দূতাবাস পশ্চিম ইউক্রেনের লুভিউভে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিয়েভের দূতাবাসে কর্মরত বেশির ভাগ কর্মীকে আগেই সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমেরিকা।
এ দিকে ম্যাক্সারের অতি উচ্চমানের উপগ্রহ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর রাশিয়ার সৈন্যের উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। সৈন্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে একটা বিষয় স্পষ্ট, রাশিয়ার তরফে বিশাল সংখ্যক সৈন্য সমাবেশ প্রায় সম্পূর্ণ। বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্ত এলাকা— এই তিনদিক ঘিরে আক্রমণের ছক কষছে মস্কো, বলেই মনে করছে পশ্চিমী দুনিয়া।
উপগ্রহ ছবিতে দেখা যাচ্ছে সীমান্ত বরাবর বিপুল সংখ্যক সৈন্য সমাবেশের পাশাপাশি সামরিক হেলিকপ্টার ও যুদ্ধাস্ত্র সম্ভার জড়ো করা হচ্ছে। সেনা ছাউনি থেকে সৈন্য এবং সমরাস্ত্র সীমান্তের আরও কাছাকাছি আনা হচ্ছে, এমন দৃশ্যও ধরা পড়ছে ছবিতে।
সব মিলিয়ে ক্রমেই পারদ চড়ছে যুদ্ধের। যদিও এই উত্তাপের ছিটেফোঁটা নেই ইউক্রেনের আমজনতা কিংবা সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির গলায়। আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলো যখন কার্যত নিশ্চিত, বুধবারের মধ্যেই রাশিয়া হামলা চালাবে, তখন জেলেনস্কি আমেরিকা ও তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে বলছেন, ‘‘আপনার বা অন্য কারও কাছে যদি প্রকৃত তথ্য থাকে যে ১৬ তারিখ রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে, তা হলে দয়া করে সেই তথ্যপ্রমাণ আমাদের দিন।’’