ডোনাল্ড ট্রাম্পের (বাঁ দিকে) প্রশাসনে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ পটেল (ডান দিকে)। এফবিআইয়ের নতুন অধির্কতা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
তাঁর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে নিয়োগের ঘোষণা করলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জয় ভট্টাচার্যের পর এ বার আমেরিকার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বাহিনী ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হল কাশ্যপ পটেলকে। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কাশ্যপ। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম কার্যকালের সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চিফ অফ স্টাফ, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি কাউন্সিলের সন্ত্রাসদমন দফতরের সিনিয়র ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলেছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দফায় ওই সব পদে থাকাকালীন দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছিলেন। ফলে সেই কাশ্যপের উপর আস্থা রাখলেন ট্রাম্প। এ বার তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিলেন তিনি। দেশের গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে নিয়োগ করলেন কাশ্যপকে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘কাশ দুর্দান্ত এবং প্রতিভাবান আইনজীবী, তদন্তকারী আধিকারিক। এক জন যোদ্ধা। দুর্নীতি ফাঁস, ন্যায়বিচার রক্ষা এবং আমেরিকার মানুষের স্বার্থে তিনি লড়াই করেছেন।’’
শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পের কণ্ঠে কাশ্যপের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। কী ভাবে তাঁর প্রথম কার্যকালের সময় কাশ্যপ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তারও প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ট্রাম্প। প্রথম থেকেই আমেরিকার গোয়েন্দা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বার বার উঠে এসেছিল ট্রাম্পের কথায়। তাই দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আর সেই শুরুটা করলেন কাশ্যপের মতো এক জন দক্ষ প্রশাসনিক কর্তার হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে।
পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ পটেল। সংক্ষেপে কাশ পটেল নামেও পরিচিত তিনি। আমেরিকার প্রশাসনিক মহলে ‘কাশ’ নামে খ্যাত। ১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে জন্ম কশ্যপের। আইন নিয়ে পড়াশোনার জন্য নিউ ইয়র্কে আসার আগে রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতক হন কাশ্যপ। ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’-এর ‘ফ্যাকাল্টি অফ ল’ থেকে আন্তর্জাতিক আইনেরও ডিগ্রি রয়েছে কাশ্যপের। আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন কাশ্যপ।
দিন কয়েক আগেই আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত জয় ভট্টাচার্যকে তাঁর প্রশাসনের মাথায় বসিয়েছেন ট্রাম্প। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ (এনআইএইচ)-এর অধিকর্তা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। ৫৬ বছর বয়সি স্বাস্থ্যবিদ এবং অর্থনীতিবিদ জয়ের জন্ম কলকাতায়। বর্তমানে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে এমডি ডিগ্রি। পাশাপাশি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন তিনি।