প্রতীকী ছবি।
সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত আটকানোর নজরদারি সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানকে যাতে না সরানো হয়, সে জন্য ঝাঁপাতে চাইছে নয়াদিল্লি। এ মাসের ২০ তারিখ থেকে প্যারিসে এফএটিএফ-এর বৈঠক বসতে চলেছে। কূটনৈতিক হাওয়া বলছে, ২০১৮ থেকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার ধূসর তালিকায় থাকার পর এ বার মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানের। এফএটিএফ যাতে এই সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সেজন্য শেষ চেষ্টা করবে ভারত। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো এবং তার থেকে নিরন্তর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস পাচার সংক্রান্ত প্রমাণ এফএটিএফ-এ পেশ করবে নয়াদিল্লি।
এফএটিএফ-র এর আগের বৈঠকটি হয়েছিল জুন মাসে। তখন বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান সন্ত্রাসদমনে দু’টি কর্মসূচি সম্পূর্ণ রূপায়ণ করেছে, যার মধ্যে ৩৪টি বিষয় রয়েছে। এর পর ২৯ অগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর এফএটিএফ-এর ১৫ সদস্যের দল পাকিস্তান সফর করে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে প্যারিসের বৈঠকে। রিপোর্ট পাকিস্তানের জন্য স্বস্তিজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
এফএটিএফ-র বৈঠকের ঠিক আগেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছেন, “বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র পাকিস্তান। এখনও তারা ভারত-সহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর মূল উৎস।” সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আমেরিকায় গিয়ে জি ২০ গোষ্ঠীভূক্ত রাষ্ট্রগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে সন্ত্রাসবাদে পুঁজি জোগানের বিষয়ে সরব হন নির্মলা। পরে অবশ্য তিনি বলেছেন, কোনও বিশেষ দেশের নাম সেখানে করেননি।
২০১৮-র জুন থেকে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। অবৈধ আর্থিক লেনদেন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য রুখতে দেশের আইন ব্যবস্থা, তদন্ত ও নিয়ন্ত্রণ মূলক পদক্ষেপ যথাযথ না হলে, দেশটিকে বিপজ্জনক বলে ধরা হয়।