ছবি এএফপি।
এর আগেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু চলতি সময়ের সার্বিক ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে গত কাল হাসিনা-ইমরান ফোনালাপের বিষয়টি কিছুটা অস্বস্তিতে রেখেছে সাউথ ব্লককে। তবে প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানাননি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। গত কাল ওই ফোনের পর, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া একট দীর্ঘ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, হাসিনার সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন ইমরান। কিন্তু বাংলাদেশ যে বিবৃতিটি দেয়, সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের উল্লেখটুকুও ছিল না। আপাতত সেটাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে কথা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সময়ের দ্বারা পরীক্ষিত। শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ চলছে। আমরাও তার অংশীদার।” কাশ্মীর প্রসঙ্গে অনুরাগ বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর যে যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটা বাংলাদেশেরও অবস্থান। তাদের সেই অবস্থানকে আমরা সম্মান করি।”
তবে মুখে না বললেও, প্রতিবেশী বলয়ে চিন এবং পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ভারতের। চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প, বেল্ট অ্যান্ড রোড-এ যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বহু প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চিন। বাংলাদেশের অস্ত্র আমদানির তালিকায় চিন এক নম্বরে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সম্পর্কে সক্রিয়তার বিষয়টিতেও চিনের কতটা হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।