সইফ আলি খান। —ফাইল চিত্র।
ছুরিকাহত সইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার শেষ হল মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই অস্ত্রোপচারে ইতিমধ্যেই চিকিৎসকেরা অভিনেতার শরীর থেকে ছুরির অংশ বার করেছেন। সইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচারও সফল ভাবে শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে অভিনেতার ‘কসমেটিক সার্জারি’ও।
ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সইফের শরীর থেকে প্রায় ২-৩ ইঞ্চির একটি ধারালো বস্তু বার করা গিয়েছে। চিকিৎসকেরা মনে করছেন ওটা ছুরিরই ভাঙা অংশ। লীলাবতী হাসপাতালের তরফে আগেই জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানানো হয়। সইফ শিরদাঁড়ার কাছেও আঘাত পেয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে ঢুকে হামলা এবং ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় তিন সন্দেহভাজনকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ২টো নাগাদ সইফের বাড়িতে হানা দেয় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই হানা বলে প্রাথমিক ভাবে জানায় পুলিশ। ওই দুষ্কৃতী সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। তার পরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। তবে যে ব্যক্তি সইফকে ছুরিবিদ্ধ করেন, তিনিই ধরা পড়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া তিন জনই অভিনেতার বাড়িতে কাজ করেন।
মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) দীক্ষিত গেদাম বলেন, “এক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢোকেন। তার পর অভিনেতার সঙ্গে ওই ব্যক্তির হাতাহাতি হয়। আহত অভিনেতার চিকিৎসা চলছে। তদন্ত চলছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ২টো নাগাদ সইফের বাড়িতে হানা দেয় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই হানা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। ওই দুষ্কৃতী সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। তার পরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’ নামের একটি আবাসনে থাকেন সইফ। এই আবাসনেই থাকেন অভিনেতার স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর। সইফদের সঙ্গে থাকেন তাঁর দুই শিশুসন্তান, আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জেহ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী যখন সে বাড়িতে ঢোকে, সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন অভিনেতা এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যেরা। আওয়াজ পেয়ে বাড়ির সকলে উঠে পড়লে আবাসন থেকে বেরিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।