Ivory Business

হাতির দাঁত বাণিজ্যের বিপক্ষে নিশ্চুপ ভারত

শনিবার এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেস্ট চন্দ্রপ্রকাশ গয়াল বলেন এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে প্রস্তাবটি খারিজ হয়েছে তা ভাল খবর।

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৩৬
Share:

আইভোরি বণিজ্যের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিল না ভারত। প্রতীকী চিত্র।

তিন দশক ধরে হাতির দাঁতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরব হলেও এই প্রথম সেই বাণিজ্য ফের চালু করার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিল না ভারত।

Advertisement

শুক্রবার পানামা সিটিতে কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জার্ড স্পিসিজ় অব ওয়াইল্ড ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা (সিআইটিইস)-এর ১৯তম বৈঠকে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল যে নামিবিয়া, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জ়িম্বাবোয়ে থেকে নিয়ন্ত্রিত হাতির দাঁতের বাণিজ্য শুরু হোক। তবে ৮৩-১৫ ভোটে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে চুপ ছিল ভারত। প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে সিআইটিইসে যোগ দেয় ভারত।

শনিবার এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেস্ট চন্দ্রপ্রকাশ গয়াল বলেন এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে প্রস্তাবটি খারিজ হয়েছে তা ভাল খবর।

Advertisement

সম্প্রতি নামিবিয়া থেকে ভারতে চিতা আমদানি করার পর থেকেই সম্পর্কের মাত্রা পাল্টে গিয়েছে দুই দেশের। বিরোধীদের দাবি, সেই সূত্রে নামিবিয়ার হাতির দাঁত বাণিজ্যের বিষয়টি থেকে আপত্তি কমেছে ভারতের। জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাতে বলা হয়, জীববৈচিত্রের স্থিতিশীল ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা (সাসটেনেবল ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব বায়োডাইভার্সিটি) সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরস্পরকে সাহায্য করবে দুই দেশ। বিরোধীদের কটাক্ষ, তার পরেই হাতির দাঁতের বাণিজ্য নিয়ে ‘আপত্তি’ নেই ভারতের। সিআইটিইসের বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় আফ্রিকান হাতি সংযুক্ত হওয়ার পরে ১৯৮৯ সালে বিশ্বজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয় হাতির দাঁতের বাণিজ্য। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement