ছবি: সংগৃহীত।
মমল্লপুরমের পরে এ বার আগরার তাজমহল। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বহু দিন থমকে থাকা ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা হতে চলেছে আগরায়। এর আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘরোয়া সংলাপ করেন তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে। দু’দেশের সম্পর্কে তিক্ততা এতটাই বাড়ে গত ক’বছরে যে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে খোলা হাওয়া বইয়ে দিতেই এই স্থানগুলি বাছা হচ্ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সঙ্গে ভারতীয়ত্বকে প্যাকেজ হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরারও কৌশল রয়েছে।
গত কয়েক বছরে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত আলোচনায় অগ্রগতি প্রায় শূন্য বললেই চলে। গত বছর ভারত-চিনের মধ্যে উহান সংলাপের পরে স্থির হয় যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত সমস্যার জট ছাড়ানো হবে যাতে ডোকলামের মতো ঘটনা এড়ানো যায়। মনমোহন জমানা থেকে চালু নিয়ম মেনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই-র মধ্যেই কথা হবে বলে স্থির হয়। চলতি বছরে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও চিনের পক্ষ থেকে ওয়াং ই-র সফর বাতিল হয়ে যায়। গত অক্টোবরে পাকিস্তানে আফগানিস্তান সংক্রান্ত আলোচনা সেরে সরাসরি ভারতে আসার প্রস্তাব দেন ওয়াং ই। সেই সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে দিল্লি চায়নি ইসলামাবাদের বার্তা নিয়ে আসুন চিনা দূত।
আরও পড়ুন: বিরাট সঙ্কট ডেকে আনছে ভারত, বললেন ইমরান ॥ নিজের দেশে তাকান, জবাব দিল্লির