Chia Seeds Plant

শরীর ভাল রাখতে চিয়া বীজ খান? খুব সহজে বাড়িতেই তা থেকে গাছ করতে পারেন

স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে চিয়া বীজ খাওয়ার চল ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে এই বীজের দামও খুব কম নয়। যদি চান, খুব সহজেই বীজ থেকে গাছ করতে পারেন বাড়িতেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৮
Share:

চিয়া বীজ থেকে চারা বানিয়ে ফেলুন খুব সহজেই। ছবি: ফ্রিপিক।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন যাঁরা, তাঁদের অনেকেরই নিত্য ডায়েটে জায়গা করে নিয়েছে চিয়া বীজ। ওজন বশে রাখতে অনেকে এই বীজ খান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, চিয়া বীজের গুণ অনেক। রক্তচাপ থেকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বীজটি ভূমিকা রাখে। বিপাক হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে চিয়া বীজ। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

Advertisement

কেউ জলে ভিজিয়ে, কেউ দই দিয়ে, কেউ আবার স্মুদিতে মিশিয়ে খান এই বীজটি। বাজারে এর দামও নেহাত কম নয়। চাইলে বাড়িতেই বীজ থেকে গাছ হতে পারে। এ জন্য মাটিও লাগবে না। শুধু জলেই কাজ হবে।

১. প্রথমে এক গ্লাস জলে ২-৩ টেবিল চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে নিন। রাতভর সেটি ভিজতে দিন।

Advertisement

২. একটি পাত্রে বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার দিয়ে উপর থেকে জল স্প্রে করে দিন।

৩. জলে ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজগুলি ভেজা টিস্যুর উপরে ছড়িয়ে দিন। এই অবস্থায় পাত্রটি এমন কোনও জায়গায় রাখুন, যেখানে সরাসির সূর্যালোক না এলেও, রোদের তাপ আসে। ঘণ্টা দুয়েক পরে বীজের উপরে এক বার জল স্প্রে করে দিন।

৪. এক সপ্তাহ এই ভাবেই সেগুলি রাখতে হবে। ২-৩ দিনেই বীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে চারা বেরোতে শুরু করবে। ১০-১৫ হালকা জল স্প্রে করে জানলার ধারে পাত্রটি রাখলে চারা বড় হতে শুরু করবে। গাছ একটু লম্বা হলেই গোড়া থেকে ৪-৫ ইঞ্চি বাদ দিয়ে উপরের অংশ কেটে নিন। সবুজ পাতা-সহ অঙ্কুরিত চিয়াও স্যালাড হিসাবে খেতে পারেন। পাতা-সহ অঙ্কুরিত চিয়া বীজ স্যালাড হিসাবে খাওয়া হয়। এতে থাকে প্রচুর ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ক্যালশিয়াম।

৫. গাছের বৃদ্ধি ঠিকমতো না হলে, সার দিতে হবে। জলে মিশ্রিত তরল সার স্প্রে বোতলে ভরে টিস্যুতে স্প্রে করে দিন। তা হলে আবার তা থেকে নতুন পাতা গজাবে।

তবে গাছ বড় করতে চাইলে বড় টবে তা স্থানান্তরিত করতে হবে। চিয়া গাছ বেড়ে ওঠার জন্য মাটির পিএইচ মাত্রা থাকা দরকার ৬-৮.৫। টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন ভাল হয়, তা দেখতে হবে।

গাছটির বেড়ে ওঠার জন্য সূর্যালোকের দরকার। অন্তত ছ’ঘণ্টা রোদ আসে, এমন জায়গায় সেটি রাখতে হবে। এই গাছে বেশি জল দিতে হয় না। সারও তেমন দরকার হয় না। মাঝে মধ্যে সামান্য কম্পোস্ট দিলেই হবে। ফুল আসার পরে তা ব্যাগে ভরে রাখতে হয়। ফুল ঘষাঘষি করলেই বীজ বেরিয়ে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement