প্রতীকী ছবি।
প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ড ইজ়রায়েলের দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখার আইনি পরিণতি প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতকে প্রশ্ন তোলা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা প্রস্তাবে গত কাল ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। সেখানে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত-সহ ৫৩টি দেশ। প্রস্তাবের পক্ষে ৮৭টি এবং প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ২৬টিভোট পড়ে।
প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছিল, ইজ়রায়েল অধিকৃত প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে প্যালেস্তিনীয়দের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। প্রস্তাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হবে, বিধিভঙ্গের জন্য ইজ়রায়েলের আইনি পরিণতি কী হতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যামস্টারড্যামের দ্য হগে অবস্থিত রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ইজ়রায়েলি নীতি ও কার্যক্রম কী প্রভাবফেলছে এবং এর আইনি পরিণতি কী হতে পারে।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা, ইজ়রায়েল। অন্য দিকে ভারতের মতোই ভোটদানে বিরত থেকেছে ব্রাজিল, জাপান, মায়ানমার, ফ্রান্সের মতো দেশ।
গতকাল ভোটের আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের দূত গিলাড এরডান ওই প্রস্তাবকে আপত্তিকর হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা ইহুদিদের বাসস্থানকে দখলদারি বলতে পারে না। একে নৈতিক দেউলিয়াপনা বলেও উল্লেখ করেছেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শীর্ষ স্থানীয় বৈঠকে প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে ইজ়রায়েল যদি ১৯৬৭ সালে দখল করা ভূখণ্ড ছেড়ে না দেয়, সে ক্ষেত্রে প্যালেস্তাইন দ্য হগের আদালতের দ্বারস্থ হবে। গতকালের ভোট আব্বাসের সেই মন্তব্যেরই পরিণতি বলে জানিয়েছেন এরডান।
গতকালের ভোটাভুটির পরে ওয়ার্ল্ড জুয়িশ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড এস লাউডার জানিয়েছেন, এ ধরনের ভোট আসলে ইজ়রায়েলের প্রতি পক্ষপাতের দৃষ্টান্ত। আমেরিকা-সহ যে সমস্ত দেশ ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ইজ়রায়েলকে সমর্থন করেছে তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, একমাত্র বিবদমান দুই দেশের মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমেই বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে শান্তি আনা সম্ভব।