প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সুইমিং পুলে বিক্ষোভকারীরা। ছবি রয়টার্স।
প্রেসিডেন্টের সুইমিং পুলে জলকেলি করছেন বিক্ষোভকারীরা। দু’মাস আগে শ্রীলঙ্কার এ হেন ছবি এ বার দেখা গেল ইরাকে। বাগদাদে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে পড়েছেন শ’য়ে শ’য়ে বিক্ষোভকারী। সুইমিং পুলে তাঁদের সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মুক্তাদা আল-সদর রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার পরই তাঁর অনুগামীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বাগদাদে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী।
এরই মধ্যে নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে বাগদাদে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়েন। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। সুইমিং পুলে নেমে স্নান করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট কোথায় রয়েছেন, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে বিক্ষোভকারীদের ঢুকে পড়ার ঘটনার সাক্ষী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা টালমাটাল দ্বীপরাষ্ট্রে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকশো বিক্ষোভকারী। প্রেসিডেন্টের বিছানা, সুইমিং পুল, বাগান, জিমে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল আন্দোলনকারীদের। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলেও।
বর্তমানে রাজনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত ইরাক। গত অক্টোবর মাসে পার্লামেন্ট নির্বাচনে মুক্তাদা-র দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনে জটিলতা তৈরি হয়। জোট সরকার গড়তে রাজি হননি তিনি। যার ফলে এখনও সরকার গঠন হয়নি সে দেশে। পার্লামেন্ট ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মুক্তাদা-র রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণায় নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে ইরাকে।