নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সম্মেলনে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি রয়টার্স।
নানা বিতর্ক ঘিরে শিরোনাম দখল করলেও গত জানুয়ারিতে ওভাল অফিস থেকে প্রস্থানের পর থেকে এত দিন কার্যত আড়ালেই থেকেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনায় অনুষ্ঠিত রিপাবলিকান সম্মেলনে ফের পুরনো মেজাজেই দেখা গেল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে।
অতিমারি পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে এই মঞ্চ থেকেই ফের এক বার চিনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ট্রাম্প। দাবি করলেন বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ। সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির ঠিক মতো মোকাবিলা করতে না-পারার অভিযোগে বিদ্ধ করলেন আমেরিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচিকেও। পাশাপাশি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে আমরাই জিতব!’’
মঞ্চে স্বাগত জানাতে গিয়ে ট্রাম্পকে এ দিন ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট’ বলেই সম্বোধন করতে দেখা যায় রিপাবলিকান দলের নর্থ ক্যারোলাইনা প্রদেশের চেয়ারম্যান মাইকেল হোয়াটলেকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখা, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে বলে যে দাবি ট্রাম্প করেন, হোয়াটলে হয়তো সে দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন।
গ্রিনভিল শহরের ওই সম্মেলনে ফাউচির বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে ট্রাম্প এ দিন বলেন, ‘‘তিনি উঁচু মানের চিকিৎসক নন, তিনি হলেন উঁচু মানের প্রচারক!’’ টিভির পর্দায় ফাউচির উপস্থিতিকে বিঁধেই তাঁর এই মন্তব্য বলে ধারণা অনেকের। ‘চিনের উহান শহরের একটি ল্যাবরেটরি থেকেই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং ছড়িয়ে পড়া’— ট্রাম্পের সমর্থিত এই তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার জন্যেও এ দিন ফাউচির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। দেশবাসীকে ‘মাস্ক পরতে বাধ্য করার’ জন্যেও নিশানা করা হয় ফাউচিকে! এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি, ট্রাম্পের দাবি, চিনের উচিত অতিমারি পরিস্থিতি তৈরির জন্য আমেরিকা এবং বাকি দেশগুলিকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
তাঁর সংস্থা ‘দ্য ট্রাম্প অর্গ্যানাইজ়েশন’-এর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে শুরু হওয়া তদন্ত নিয়েও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে নিশানা করতে ছাড়েননি ট্রাম্প। ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ২০২২-এর সেনেট নির্বাচন থেকেই রিপাবলিকানদের কোমর বাঁধার বার্তাও এ দিন দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌঁড়ে তিনিও যে থাকছেন, শনিবার সেই তত্ত্বও আরও জোরাল করেছেন ট্রাম্প।