ফাইল চিত্র।
জয় এল, কিন্তু প্রত্যাশার থেকে অনেক কম!
ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে সব থেকে বেশি আসনে জয়ী লেবার পার্টি। লন্ডনের কনজ়ারভেটিভ ঘাঁটির বেশ কিছু আসন বরিস জনসনের দলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। কিন্তু গোটা দেশে আশানুরূপ ফল হয়নি।
বেশ কয়েক মাস ধরে জনসনের কনজ়ারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা নামছে। এর প্রধান কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারি। কোভিড বিধি ভেঙে খাস প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একাধিক মদের আসর বসিয়ে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কনজারভেটিভ দলের নেতা জনসন। তা ছাড়া, গত কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধিও সাধারণ মানুষকে শাসক দলের প্রতি আরও বিরূপ মনোভাবাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলগুলির আশা ছিল, এই সুযোগে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে ভাল ফল করবে তারা।
তবে ফল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে, যতটি আশা করেছিল লেবার পার্টি, ততটা ভাল ফল করতে পারেনি তারা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত যে সব আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে ভোট-চিত্রটা আপাতত এ রকম— লেবার ও লিবারাল ডেমোক্র্যাট, দু’টি দল মিলিয়ে তাদের মোট আসন সংখ্যা প্রায় চারশো বেশি বাড়িয়েছে। অন্য দিকে, প্রায় চারশো আসন হারিয়েছে কনজ়ারভেটিভ পার্টি। অন্যান্য ছোট দল, যেমন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি, গ্রিন পার্টি বা ওয়েলসের আঞ্চলিক দল পিসিও এ বার বেশ কিছু আসন হারিয়েছে। ভাল ফল করতে পারেননি নির্দল প্রার্থীরাও। সেই সব আসন মূলত গিয়েছে লিবারাল ডেমোক্র্যাট পার্টির ঝুলিতে। লন্ডনের বাইরে খুব চমকপ্রদ ফল হয়নি লেবার পার্টির। তবে তাতে হতাশ নয় তারা। লেবার নেতা কায়ার স্টার্মারের কথায়, ‘‘২০১৯-এর সেই শোচনীয় ফলের পরে এটা দলের কাছে একটি বিশাল মোড়বদল। আমাদের দল এখন ঠিক পথে চলছে।’’ লন্ডনের তিনটি প্রধান বরো— ওয়েস্টমিনস্টার, ওয়ান্ডসওয়ার্থ এবং বার্নেট, এই তিনটিতেই জয়ী হয়েছে স্টার্মারের দল।
আড়াইশোরও বেশি আসন হারানোর পরে এ বার কি কনজ়ারভেটিভ দলের অন্দরে ফের বরিস জনসনকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠবে? ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের ঘনিষ্ঠ মহলে এখন সেই প্রশ্নই উঠছে।