প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে হামলা ও সম্প্রীতি নষ্টের ঘটনার নিন্দা করল বাংলার ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, বিদ্বেষের বীজ বপনের উদ্দেশ্য নিয়েই ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করার খবর রটানো হয়। সেই প্ররোচনায় পা দিয়ে মণ্ডপে হামলা চালিয়ে কিছু লোক নিজেদের ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থকেই অপমান করেছে। বাংলাদেশের প্রশাসন, ধর্মীয় সংগঠন ও বিশিষ্টজনদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে এ পার বাংলার ইমাম সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, এ পার বাংলার সংখ্যালঘু হিসেবে তারা ও পার বাংলার সংখ্যালঘুদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছেন এবং সমব্যথীও। তাই শর্তহীন ভাবে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোকে তাঁরা নৈতিক এবং মানবিক কর্তব্য বলে মনে করেন।
বাংলাদেশের ঘটনার নিন্দা করেও এ পার বাংলায় এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইমামদের সংগঠন। তারা জানিয়েছে, এক বা একাধিক ব্যক্তির দুষ্কর্মের দায়ভার পুরো সম্প্রদায়ের উপরে বর্তায় না। তাঁদের মতে, যাঁরা এ ভাবে কোনও দুষ্কর্মের দায়ভার গোটা সম্প্রদায়ের উপরে চাপিয়ে দেন তাঁরাও সমান বিভেদকামী।
ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ঢাকার পদক্ষেপে তারা আশ্বস্ত। সে দেশের ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছে।