২০২০ সালে হাঙরটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ছবি সংগৃহীত।
সে ছিল ‘মহাসাগরের রানি’। অনেক চেষ্টার পর তাকে ধরা হয়েছিল। তার সাহায্যে সাগরের তলদেশে নানা রহস্যের কিনারার জন্য মরিয়া হয়েছিলেন গবেষকরা। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে মহাসাগরের সেই ‘রানি’র হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যার জেরে স্বভাবতই হতাশ গবেষকরা। ভাবছেন তো, ‘মহাসাগরের রানি’ আবার কে! এই ‘রানি’ হল একটি হাঙর। তাকে ওই নামেই ডাকা হত।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে উত্তর অতলান্তিক থেকে ধরা হয়েছিল ওই হাঙরটি। তার পরই হাঙরটির গায়ে ‘ট্র্যাকিং ট্যাগ’ লাগানো হয়েছিল। যার সাহায্যে হাঙরটির গতিবিধি জানা যেত। গবেষকরা ঠিক করেছিলেন, আগামী পাঁচ বছর ধরে হাঙরটিকে নিয়ে তাঁরা গবেষণা চালাবেন। কিন্তু তার আগেই বেপাত্তা সেই হাঙর।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই হাঙরটির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এক গবেষক জানিয়েছেন, সমুদ্রে কিছু একটা ঘটেছে হাঙরটির। তার গায়ে যে ‘ট্র্যাকিং ট্যাগ’ লাগানো হয়েছিল, সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কাজ করছে না। তাই হাঙরটির গতিবিধি আর জানতে পারা যাচ্ছে না। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, নিরুদ্দেশ হওয়ার কিছু সময় পর অস্পষ্ট সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছিল ওই ট্র্যাকিং ট্যাগের মাধ্যমে। তবে বিশদে জানা যায়নি।
হাঙরটিকে নিয়ে গবেষণার জন্য তার দাঁত থেকে ব্যাকটেরিয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়াও, রক্ত, চামড়ার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেল। শেষ বার ২০২১ সালের জুন মাসে হাঙরটির গতিবিধি জানা গিয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে আর খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় হতাশ ওই গবেষকদের দল। কোথায় গেল ওই হাঙরটি, এ নিয়ে যেন চিন্তায় ঘুম উড়েছে গবেষকদের।