ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে ‘এমভি মার্লিন লুয়ান্ডা’। ছবি: পিটিআই।
ফের একটি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাল হুথি জঙ্গিরা। গত কাল হঠাৎই ভারতীয় নৌসেনা আডেন উপসাগর থেকে বিপদবার্তা পায়। খবর আসে, একটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথিরা এবং জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছে। মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ওই জাহাজ ‘এমভি মার্লিন লুয়ান্ডা’-য় ২২ জন ভারতীয় ও এক জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি হলেও সওয়ারিদের কেউ জখম হননি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস বিশাখাপতনম আডেন উপসাগরে নিযুক্ত রয়েছে। ২৬ জানুয়ারি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা সাহায্য করতে ছুটে যায়। ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘নিউক্লিয়ার বায়োলজিক্যাল কেমিক্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর বিশেষ দল। তাদের ও জাহাজের কর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত অক্টোবর মাসে গাজ়ায় ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এর মাসখানেক পর থেকেই হামাসের সমর্থনে লোহিত সাগর ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পণ্যবাহী জাহাজগুলির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে শুরু করে হুথিরা। এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ। সমুদ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় একটি বিশেষ যৌথ টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। এ ছাড়া, ভারত-সহ আরও বেশ কিছু দেশ নিজেদের বাহিনী তৈরি রেখেছে। সম্প্রতি হুথিদের বেশ কিছু শিবির ধ্বংস করে আমেরিকা-ব্রিটেনের বাহিনী। বেশ কয়েক জন হুথি জঙ্গি নিহত হয়। কিন্তু তার পরেও তাদের হামলা অব্যাহত। অগত্যা লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে বেশির ভাগ জাহাজ। আফ্রিকা দিয়ে ঘুরপথে যেতে গিয়ে জাহাজের জ্বালানি খরচ বাড়ছে। গত সপ্তাহেও মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ গেকো পিকার্ডি-র উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। সে বারেও তাদের সাহায্য করে আইএনএস বিশাখাপতনম। ওই জাহাজে ২২ জন কর্মীর মধ্যে ৯ জন ভারতীয় ছিলেন। কেউ হতাহত হননি।