ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি এপি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই কি শেষ কথা বলবেন! নাকি, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হবে তাঁকে? গত কালের ভোটভুটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কার্যত ধাক্কা দিয়েই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বলল, প্রেসিডেন্টের একার মর্জিতে সব হবে না। যুদ্ধ বাধিয়ে পরে ব্যাখ্যা দেওয়া চলবে না। আগাম অনুমতি নিতে হবে।
ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসে পাশ হওয়া এই ‘যুদ্ধঘোষণার ক্ষমতা’ শীর্ষক প্রস্তাবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই। আবার প্রেসিডেন্টও এই প্রস্তাব মানতে বাধ্য নন। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তবু দাবি, ‘‘প্রেসিডেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়াটা জরুরি ছিল। এই বার্তাটা মার্কিন কংগ্রেসের।’’ উত্তেজনা, হিংসা থামিয়ে ইরানে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে স্পিকার জানান, হাউসের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে মার্কিন নাগরিক ও মূল্যবোধের অপচয় রুখবে। একই রকম প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে সেনেটও।
হোয়াইট হাউস এই প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে তোপ দেগেছে। আর ট্রাম্প ওহাইয়োর নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে জানান, সেনেটরদের আগাম সতর্ক করা থেকে তাঁকে কেউ আটকাতে পারবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘পেলোসির মতো ডেমোক্র্যাট নেতারা আসলে উস্কানি দিয়ে আমার কাছ থেকে সেই রকম কথাই বার করতে চাইছে, যাতে তারা সেটি নির্দ্বিধায় দুর্নীতিগ্রস্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করে দিতে পারেন।’’ ওই সভা থেকেই ইরান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে আমরা তৈরিই ছিলাম। যুদ্ধ বাধাতে না-চাইলেও, সে দিন জবাব দিতাম। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি দেখেই পিছিয়ে আসি। ভাগ্যক্রমে অনেক মানুষ বেঁচে গেল।’’ তাঁর জমানায় ইরান যে একটিও পরমাণু-বোমা বানাতে পারবে না, তা-ও এ দিন ফের জানান ট্রাম্প। মঙ্গবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে আজই ইরানের উপর এক গুচ্ছ নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছে তাঁর প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা