-ফাইল চিত্র।
এক দিনে ২ লক্ষ! এক লাফে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি! দৈনিক করোনা-সংক্রমণের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে আমেরিকা। ব্রিটেন এ দিকে আর দিন দশেকের মধ্যে কোভিডের টিকা দেওয়া শুরু করতে চলেছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবর। দেশের সর্ববৃহৎ টিকাদান কর্মসূচির সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শনিবার এক জন ‘টিকা মন্ত্রী’ নিয়োগ করেছেন। নাদিম জাহাউই-কে দেওয়া হয়েছে এই নতুন মন্ত্রকের ভার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ব্রিটেনের হাসপাতালগুলিকে জানানো হয়েছে, ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইজ়ার/বায়োএনটেক-এর প্রতিষেধক পৌঁছতে পারে তাদের কাছে। হাসপাতালে পৌঁছনোর পাঁচ দিনের মধ্যে টিকা ব্যবহার করতে হবে। এই টিকা মাইনাস ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে পথে যাতে টিকা নষ্ট না-হয়, নজর থাকবে সে দিকেও। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষেধক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএচআরএ-এর ছাড়পত্র পায়নি। আপাতত ২ কোটি মানুষের জন্য ফাইজ়ারের টিকার ৪ কোটি ডোজ় পাচ্ছে ব্রিটেন। যা প্রথম দেওয়া হবে ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের কর্মীদের।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট বলছে, আমেরিকায় নতুন ২ লক্ষ ৫ হাজার ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮২। শীতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেব দায়িত্ব নেওয়ার আগেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আরও প্রবল হয়ে উঠেছে।
‘কোভিড ট্র্যাকার প্রোজেক্ট’-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার ‘হার্টল্যান্ড’-এর সাউথ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, কানসাস, উইসকনসিন-সহ বহু রাজ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ। বেশির ভাগ হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা নেই, আইসিইউয়ে জায়গা নেই। স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব, কারণ তাঁরাও করোনা-আক্রান্ত। শহর ছাড়িয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামেও। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শীতে সতর্ক থাকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করছেন মানুষ। দূরত্ববিধি মানছেন না। মাস্ক পরছেন না। জমায়েত করছেন। বড়দিন আসছে। এ ভাবে চললে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
করোনার উৎস হিসেবে গোড়া থেকেই আঙুল উঠেছে চিনের দিকে। চিন প্রথমে দুষেছিল ইউরোপকে। এখন ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতিতে দ্বিপাপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। বেজিং এখন বলছে, করোনাভাইরাসের উৎস ভারত। ‘চাইনিজ় অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’-এর দাবি, ২০১৯-এর গ্রীষ্মে ভারতে প্রাণীদের থেকে দূষিত জল মারফত মানুষের শরীরে প্রথম ছড়ায় ভাইরাসটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেজিংয়ের দাবি উড়িয়ে বলেছে, চিনেই প্রথম ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়।