taliban

Afghanistan: নতুন করে ভাবুন! কাবুল দখলের পর ভারত সরকারের বন্ধুত্ব চাইল তালিবান

জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখলে তাদের সঙ্গে নয় কেন, প্রশ্ন তালিবান মুখপাত্রের। তালিবান এখন অনেক পরিণত বলেও দাবি তাঁর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২১ ১২:১৯
Share:

ভারতকে বন্ধুত্বের বার্তা তালিবানের।

সেনা পাঠালে ফল ভাল হবে না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। এ বার সরাসরি ভারতকে অবস্থান পাল্টানোর পরামর্শ দিলেন তালিবান মুখপাত্র শাহীন সুহেল। পূর্বতন আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে যে সখ্য ছিল, তালিবানের সঙ্গেও তেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দুই দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।

রবিবার কাবুল দখলের পর তালিবানের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে পূর্ণ সময়ের সরকার গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এই তালিবান সরকারের সঙ্গে আগামী দিনে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু তালিবানের দাবি, ভারত চাইলে আগের মতোই দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব।

Advertisement

সোমবার সিএনএন-নিউজ-১৮ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল বলেন, ‘‘আশা করি ভারতও অবস্থান পাল্টাবে। এত দিন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যে সরকার চলছিল আফগানিস্তানে, তাদের সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। আগামী দিন সেই সমীকরণ বজায় থাকলে ভারত এবং আফগানিস্তান, দু’দেশের পক্ষেই তা মঙ্গলজনক।’’

পূর্বতন সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি, তার মধ্যেই আফগানিস্তানকে ফের ২০ বছর আগেকার ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এ ফিরিয়ে আনতে চাইছে তালিবান। তাতে তালিবানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের হাতে আফগানিস্তান কতটা সুরক্ষিত থাকবে, পড়শি দেশগুলিতে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

কিন্তু এই তালিবানের সঙ্গে আগের তালিবানের কোনও মিল নেই বলে দাবি করেছেন সুহেল। তাঁর যুক্তি, ‘‘আগে সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের। কিন্তু গত ২০-২৫ বছর ধরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি আমরা। জেনেছি কী ভাবে সরকার চালাতে হয়, কী ভাবে অন্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়। আফগানিস্তানের পুনর্নির্মাণ চাই আমরা। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। অন্যদের সহযোগিতা ছাড়া তা অসম্ভব।’’

গত ২৪ ঘণ্টায় কাবুলের যে পরিস্থিতি, তা এখন নিয়ন্ত্রণে বলেও জানান সুহেল। তাঁর দাবি, তালিবান এবং আশরফ গনির মধ্যে যখন বোঝাপড়া চলছে, তখনই আফগান সেনা কাবুল খালি করে দেয়। কিন্তু উপরমহল থেকে নির্দেশ থাকায় তালিবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশ করতে পারেননি। সেই সুযোগে অসৎ লোকেরা ব্যাপক লুঠতরাজ চালায়। এমনকি গুলিও চলে। তবে তালিবান ঢোকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement