ছবি: রয়টার্স।
চিনের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছিলই। এ বার চিনের পতাকায় কালি লাগিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের একাংশ। গত তিন মাসের মতো এই সপ্তাহান্তেও গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে উত্তাল স্বশাসিত এই এলাকা। বিক্ষোভ ঠেকাতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে পুলিশকে। হংকংয়ের দাঙ্গা দমনকারী পুলিশের অভিযোগ, একাধিক এলাকায় ইট-পাথর হাতে তাদের দিকে ধেয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে।
পুলিশের দাবি, শা তিন এলাকা থেকে আজ গোলমালের সূত্রপাত। সেখানকার একটি শপিং মলের চলমান সিঁড়ি আর কাচের প্যানেলে প্রথম হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এক দল বিক্ষোভকারীকে তার পর দেখা যায় চিনের পতাকায় কালি লেপতে। এর পরে ছেঁড়া পতাকা হাতে মিছিল করেন তাঁরা। শেষে শা তিনের শিং মুন নদীতে সেই পতাকাটি ছুড়েও ফেলে দেন তাঁরা। কাওলুনের একটি শপিং মলেও একই ভাবে হামলা চালানো হয়। পুলিশ গিয়ে ওই প্লাজাটি বন্ধ করে দেয়।
আজ বিক্ষোভকারীদের নিশানায় ছিল বিমানবন্দরও। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরা চলা এই বিক্ষোভ আন্দোলনে একাধিক বার বিমানবন্দরকে নিশানা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। গত মাসে শয়ে শয়ে উড়ানও বাতিল হয়েছে হংকং বিমানবন্দর থেকে। আজ প্রথমে বিমানবন্দরের প্রধান লাউঞ্জের দখল নেন শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বিমানবন্দর আসার গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। শুধুমাত্র হংকং থেকে চালু ছিল এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেসের মেট্রো পরিষেবা। তা-ও বৈধ টিকিটধারীরাই শুধু উঠতে পেরেছেন ওই ট্রেনে।
কিন্তু প্রশাসনের সেই পরিকল্পনাও আজ বানচাল করার চেষ্টা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভুয়ো বিমান টিকিট দেখিয়ে অনেকেই ওই ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেছেন আজ। তাঁদের হুঁশিয়ারি, এই ধরনের অবৈধ কাজ করলে ভবিষ্যতে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বিক্ষোভকারীদের।