ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত চিন-বিরোধী খবর প্রকাশের জন্য আগেই তাঁকে জেলে পুরেছে হংকং প্রশাসন। এ বার তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার ‘অপরাধেও’ দোষী সাব্যস্ত করা হল হংকংয়ের মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। ৭৪ বছরের জিমির সঙ্গেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন হংকংয়ের আরও দুই গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারী।
আজ সকালে হংকংয়ের এক আদালত ওই তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। জিমি ছাড়া বাকি দু’জন হলেন হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী প্রাক্তন সাংবাদিক গাইনেথ হো এবং প্রাক্তন মানবাধিকার সংক্রান্ত আইনজীবী চাও হাং তুং।
চিন-বিরোধী খবর প্রকাশের জন্য বছরখানেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিমির সংস্থার সংবাদপত্র ‘অ্যাপল ডেলি’। জিমি-সহ ওই সংবাদপত্রের বেশ কয়েক জন উচ্চপদস্থ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে আজকের এই রায় জিমির জন্য সে ভাবে আলাদা করে কোনও গুরুত্ব রাখে না।
ঘটনা গত বছর ৪ জুনের। তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তি পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল হংকং জুড়ে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শ’খানেক মানুষ জমায়েত করেন সে দিন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জিমি, হো এবং চাও। দু’ডজনেরও বেশি গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীকে সে সময়েই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের দোষী সাব্যস্তও করা হয়। কিন্তু এই তিন জন সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করায় রায় ঘোষণা বাকি ছিল।