নিউ ইয়র্ক পুলিশের উচ্চপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিমা। ছবি: সংগৃহীত।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের ‘ক্যাপ্টেন’ পদে পদোন্নতি পেলেন প্রতিমা ভুল্লার মালডোনাদো। দক্ষিণ এশিয়ার মহিলাদের মধ্যে তিনিই প্রথম, যিনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)-এর এত উচ্চপদে আসীন হলেন। প্রতিমার জন্ম পঞ্জাবে। ৯ বছর বয়সে তিনি নিউ ইয়র্ক চলে আসেন। তার পর থেকে নিউ ইয়র্কেরই বাসিন্দা তিনি।
গত সোমবার সিবিএস নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিমাকে গত মাসে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিমাই একমাত্র মহিলা যাঁকে এনওয়াইপিডিতে এত উচ্চপদে পদোন্নতি দেওয়া হল। নতুন কর্মক্ষেত্র দক্ষিণ রিচমন্ড হিল, ক্যুইন্স। এই খবরে উচ্ছ্বসিত প্রতিমা নিজেও। বস্তুত, প্রতিমার বর্তমান কর্মক্ষেত্রের এলাকাতেই কেটেছে তাঁর ছেলেবেলা। পদোন্নতি এবং নয়া কর্মক্ষেত্রের কথা জেনে তিনি বলছেন, ‘‘এটা অনেকটা ঘরে ফেরার মতো অভিজ্ঞতা। জীবনের ২৫টি বছর আমি এখানে কাটিয়েছি। এ বার এখানেই কাজ করব।’’
ঘটনাচক্রে, গোটা আমেরিকায় সর্বাধিক সংখ্যক শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ রিচমন্ড হিলে। সেখানেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিমার নয়া কর্মক্ষেত্র। তিনি বলছেন, ‘‘ছোটবেলায় যে গুরুদ্বারে প্রার্থনা করতে যেতাম, আবার সেখানে যাব। কিন্তু এ বার যাব ক্যাপ্টেন হিসাবে। দুর্দান্ত অনুভূতি!’’
প্রতিমার ৪ ছেলেমেয়ে। তাঁরা সকলেই মায়ের সঙ্গে রিচমন্ড হিলেই থাকে। মায়ের এই চোখধাঁধানো পদোন্নতির খবর তাঁরাও শুনেছে। যদিও এতে আলাদা করে আনন্দের কী আছে, তা বুঝতে পারছে না প্রতিমার শিশুসন্তানরা। তবে প্রতিমার এই কৃতিত্বকে প্রকৃত অর্থেই চোখধাঁধানো বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এনওয়াইপিডির মোট ৩৩,৭৮৭ কর্মীর মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ শতাংশ এশীয় বংশোদ্ভূত। তার মধ্যে খুবই কম মহিলা। ফলে প্রতিমার এই কৃতিত্বকে খাটো করা কার্যত অসম্ভব।