লেবাননে ফের হামলা ইজ়রায়েলের। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও লেবাননে হামলা চালানোর বিষয়ে অনড় ইজ়রায়েল। বৃহস্পতিবার লেবাননে ইজ়রায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার ড্রোন বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হুসেন শ্রাউরের। হিজ়বুল্লার তরফেও বিবৃতি দিয়ে শ্রাউরের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিয়ে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “যত ক্ষণ না আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি, তত ক্ষণ আমরা থামব না।” ওই অধিবেশনের লেবাননের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বাউ হাবিব রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা না হলে লেবাননের ভৌগোলিক অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি।
পশ্চিম এশিয়ায় ‘শান্তি এবং স্থিতাবস্থা’ ফেরাতে বুধবারই ইজ়রায়েলকে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ পশ্চিমের দেশগুলি। তবে সেই প্রস্তাবকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় তেল আভিভ। নেতানিয়াহু ইজ়রায়েলি সেনাকে হিজ়বুল্লা সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘পূর্ণ উদ্যমে’ লড়াই চালানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা এবং ফ্রান্সের দেওয়া প্রস্তাবের উত্তর দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা এবং ফ্রান্সের আশা, কঠোর নীতি থেকে সরে এসে ‘বাস্তব পরিস্থিতিটা’ বুঝবেন নেতানিয়াহু। এক ধাপ এগিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ জানান, পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়ানোর দায় নেওয়া উচিত হবে না নেতানিয়াহুর। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানিয়েছে, অন্তত ২১ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইজ়রায়েলকে রাজি করানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার হিজ়বুল্লার ঘাঁটি লেবাননে আকাশপথে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি হামলায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। পাল্টা ইজ়রায়েলে হামলা চালায় হিজ়বুল্লা গোষ্ঠীও। তাদের দাবি, ইজ়রায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ২০০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হামলায় কোনও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও।