প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্ম সবে শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই প্রবল গরমে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিসংখ্যান বলছে, বহু বছর এত উষ্ণ নভেম্বর দেখেননি এখানকার মানুষ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রদেশে তাপপ্রবাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আবহবিদেরা। সেই সঙ্গে রয়েছে দাবানলের আশঙ্কাও।
সরকারি ভাবে ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে গরম কাল শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু এ বার নভেম্বরের শেষ থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সিডনিতে গত কাল তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। শুধু সিডনিই নয়, নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরে, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে আগামী ৫-৬ দিন তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে দাবানলের জন্য বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। এ রকম শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ায় জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে বিপুল সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন-জঙ্গলে যাতে কোনও ভাবে আগুন লাগানো না-হয়, তার জন্য মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক করে রাখছে প্রশাসন। গরমে সুস্থ থাকতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে বলা হচ্ছে। নিজেদের পাশাপাশি পোষ্যদেরও আলাদা করে যত্ন নেওয়ার কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহবিজ্ঞানীদের কথায়, গরম কালে অস্ট্রেলিয়ার কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ নতুন কিছু নয়। কিন্তু গ্রীষ্মকাল শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের সতর্কতা চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিবেশবিদদের। গত বছরও প্রবল গরমে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল একরের পর একর জমি। মৃত্যু হয়েছিল ৩৩ জনের। সেই সঙ্গেই মারা গিয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি গবাদি পশু। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত গরমের মরসুমকে তাই ‘ব্ল্যাক সামার’ আখ্যা দিয়েছিলেন।