জলের নীচে যেন গাছপালা ঘেরা অসম্ভব সুন্দর মানব-নগরী। সিমেন্ট দিয়ে তৈরি গাছপালা, মূর্তি— কী নেই সেখানে!
সিমেন্ট দিয়ে জলের নীচে পার্ক বানিয়ে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন যিনি, সেই শিল্পীর হাতে এ বার আরও এক বিস্ময় ভাস্কর্যের প্রকাশ ঘটল।
সাইপ্রাসের আইয়া নাপার সমুদ্রসৈকতের কাছে জলের নীচে এই ভাস্কর্য ফুটিয়ে তুলেছেন ব্রিটিশ শিল্পী জাসন দিকেয়ারস টেলর। প্রকৃতির সঙ্গে মানব সভ্যতার সম্পর্ক ফুটে উঠেছে তাঁর শিল্পকলায়।
১৩ টনেরও বেশি ওজনের সিমেন্টের গাছপালা গড়ে তুলেছেন তিনি। কোথাও আবার ক্যামেরা হাতে প্রকৃতির ছবি তুলতে ব্যস্ত খুদে।
গাছের আড়ালে লুকোচুরিও খেলতে দেখা যাবে কয়েকজনকে। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই নিবিড় বন্ধন ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি এই পার্ক পর্যটকদের জন্যও খুলে দেওয়া হয়েছে। ডুবুরির পোশাক পরে জলের নীচে সাঁতার কেটে এমন ভাস্কর্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন শিল্পী।
এর আগে ২০০৬ সালে বিশ্বের প্রথম জলের নীচে ভাস্কর্য পার্ক তৈরি করেছিলেন এই শিল্পী। সেটি ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে গ্রেনাডার কাছে অবস্থিত।
জলের নীচের প্রকৃতির সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের পরিচিতি করানোর উদ্দেশ্যেই এই শিল্পকলা টেলরের।
৮০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ৬৫টি মূর্তি বানিয়ে পার্কের রূপ দিয়েছিলেন তিনি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ মিটার নীচে তৈরি করা হয়েছিল পার্কটি।
সাইপ্রাসের নতুন পার্কটিতে ৯৩টি মূর্তি গড়ে তুলেছেন তিনি। খরচ হয়েছে ১.১ মিলিয়ন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।