imran khan

Imran Khan: সরকারে থেকেও হাত বাঁধা ছিল, হুমকি দেওয়া হত, সরাসরি সেনাকে আক্রমণ ইমরানের

বুধবার পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত এপ্রিল মাসে পাক-পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ১৬:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষলগ্নে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ বার সরাসরি পাক সেনার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তিনি। বললেন, ‘‘আমাদের হাত বাঁধা ছিল। সর্বত্রই আমাদের (সরকারের) সঙ্গে তঞ্চকতা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। সরকারে থেকেও আমরা ক্ষমতার অধিকারী ছিলাম না।’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের সুরক্ষার স্বার্থে শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকা অবশ্যই জরুরি। তবে শক্তিশালী সেনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন মজবুত সরকারের ভারসাম্য বজায় রাখা ততটাই আবশ্যক।

Advertisement

বুধবার পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত এপ্রিল মাসে পাক-পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান। তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা বলেন, ‘‘আমাদের সরকার যখন ক্ষমতায় এল, তখন আমরা সত্যিই দুর্বল ছিলাম। সেই সময় বিভিন্ন দলের সাহায্য নিতে হয়েছিল আমাদের। কিন্তু আমাদের হাত বাঁধা ছিল। আমরা সবাই জানি, পাকিস্তানে কাদের হাতে সব চেয়ে বেশি ক্ষমতা। তাই তাদের উপরেই নির্ভর করতে হয়েছিল আমাদের।’’

যদিও কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য, স্পষ্ট করেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘সব সময়েই ওদের উপর ভরসা করতে হত আমাদের। ওরা অনেক ভাল কাজ করেছে। আবার এমন অনেক কিছুই ওরা করেনি, যা করা উচিত ছিল। ওদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে কারণ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর মতো প্রতিষ্ঠান ওদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, দুর্নীতি আর অর্থনৈতিক সন্ত্রাস রুখতে সংবিধান মেনে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পাকিস্তানে।

Advertisement

পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, গত বছর পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর শীর্ষপদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুমের নিয়োগে প্রাথমিক ভাবে সবুজ সঙ্কেত দিতে রাজি হননি ইমরান। তার পর থেকেই পাক সরকার ও পাক সেনার মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরা শুরু হয়। যদিও পরে নাদিমের নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ইমরান বললেন, ‘‘প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, এই সেনাও ধ্বংস হয়ে যাবে। পাকিস্তানের অর্থনীতি শেষ হয়ে যেতে বসেছে। এ ভাবে চলতে থাকলে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে? সেনা। তার পরিণাম হবে, আমরা পারমাণবিক শক্তিধরের তকমা হারাব। এই মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে দেশ ও জাতির মৃত্যু অবধারিত।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement