গুলির আঘাতে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গুলির শব্দ নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীর গোটা পরিবারকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ। আমেরিকার সেই বন্দুকবাজ এখন ফেরার। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
টেক্সাসের ক্লিভল্যান্ডে শুক্রবার রাতে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছিল ৮ বছরের এক শিশুও। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের লোকজন পাশের বাড়িতে গুলির শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ঘুমোতে পারছেন না বলে প্রতিবাদ জানান। তাতেই রেগে গিয়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশী।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে সাড়ে ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, নিজের বাড়ির বাগানে দাঁড়িয়ে রাতে গুলি চালাচ্ছিলেন যুবক। পাশের বাড়ি থেকে এসে তাঁকে এই সময় গুলি না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। তাঁরা জানান, বাড়িতে শিশু আছে। সে ঘুমোতে পারছে না। কিন্তু যুবক পাল্টা জানান, তিনি নিজের বাড়িতে যা খুশি করবেন।
এর পরেই কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিবেশীদের গুলি করে মারেন ওই বন্দুকবাজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু যুবককে ধরা যায়নি। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর খোঁজ চলছে।
আমেরিকায় ঘরে ঘরে পিস্তল, রাইফেল রাখার নিয়ম আছে। ফলে হামেশাই সেখানে বন্দুকবাজের দৌরাত্ম্য প্রকাশ্যে আসে। বন্দুকের এই নীতি নিয়ে বিতর্কও কম নেই। নিজের বাড়িতে বসে বসেই গুলিতে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।