Corona

অক্সফোর্ড-টিকা নিয়ে অবস্থান বদল জার্মানির

প্রয়োজনে ফের নিয়ম শক্ত করার বিকল্প খোলা রেখেই এ বার ধাপে ধাপে করোনা বিধি শিথিল করতে সম্মতি দিলেন ম্যার্কেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২১ ০৭:০৯
Share:

ছবি রয়টার্স।

অক্সফোর্ডের করোনার টিকা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার প্রয়োগ নিয়ে অবস্থান নরম করল জার্মানি। বয়স্কদের উপরে এই টিকার প্রভাব নিয়ে যথেষ্ট তথ্য নেই, এই যুক্তিতে আগে ৬৫ বছরের উপরে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা প্রয়োগের অনুমতি দেয়নি জার্মানি। এ বার ৬৫-র উপরেও এই টিকা নেওয়া যাবে বলে ঘোষণা করলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। এই সপ্তাহের গোড়ায় ফ্রান্স অনুমতি দেওয়ার পরে বয়স্কদের অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক নেওয়ায় সায় দিয়েছে বেলজিয়ামও। জানুয়ারিতে সব বয়সের মানুষের উপরে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা প্রয়োগে ছাড়পত্র দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ইটালির মতো দেশগুলিতে প্রবীণদের উপরে টিকা প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়। ইউরোপের একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা প্রয়োগ সীমিত করায় টিকাকরণ কর্মসূচিও পিছিয়ে পড়ে। এই অবস্থায় প্রাপ্তবয়স্কদের উপরে রাশিয়ায় তৈরি করোনার প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি-এর প্রভাবও খতিয়ে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত পর্যালোচক সংস্থা।

Advertisement

প্রয়োজনে ফের নিয়ম শক্ত করার বিকল্প খোলা রেখেই এ বার ধাপে ধাপে করোনা বিধি শিথিল করতে সম্মতি দিলেন ম্যার্কেল। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা অতিমারির এমন একটা নতুন ধাপে রয়েছি যেখানে হয়তো আমরা লাগামছাড়া হতে পারব না, কিন্তু একেবারে আশাহীন হওয়ার মতোও পরিস্থিতি নয়। আগামী সপ্তাহ থেকে দু’টি আলাদা পরিবারের ৫ জন সদস্য একসঙ্গে দেখা করতে পারবেন। তবে ১৪ বছরের কমে শিশুরা নয়। এক হাজার জনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর কম থাকলে সেই প্রদেশগুলিতে কিছু কিছু দোকান খোলা হবে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর বেশি হয়ে গেলে ভাগে ভাগে দোকানে যেতে হবে। দৈনিক আক্রান্ত একটানা ১০ হাজারে ১০০-র বেশি থাকলে ফের বিধিনিষেধ চালু করা হবে।

১০ হাজারের বেশি আমেরিকাবাসী দৈনিক যেখানে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে মাস্ক পরা-সহ বাকি বিধিনিষিধ শিথিল করায় বিপদ আরও বাড়বে বলে সতর্ক করলেন সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আর্জি সত্ত্বেও সম্প্রতি মাস্ক ব্যবহার-সহ অন্যান্য করোনা-বিধি সম্পূর্ণ তুলে নিয়ে আগের মতোই অফিস-ব্যবসা চালু করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে টেক্সাস ও মিসিসিপি। যার বিরোধিতা করে ফাউচি বলেন, ‘‘কয়েকটি প্রদেশ যে কেন এই সিদ্ধান্ত নিল তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার প্রয়োজন আমি বুঝি। তবে তা এখনই না। যখন সত্যি জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিধিনিষেধ মানার প্রয়োজন থাকবে না, তখনই আপনি আগের মতো অবস্থায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন ৫৫ থেকে ৭০ হাজার করে আক্রান্ত দেখছি। এই সংখ্যা যথেষ্ঠ যথেষ্ঠ বেশি।’’ এ দিকে, অতিমারির সঙ্গে যুঝতে ১.৯ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন বাইডেন প্রশাসন। সেনেটে সেই সংক্রান্ত বিলটিতে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার কথা আজ মধ্যরাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement