—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিবস্ত্র শরীরের একাধিক জায়গায় চোটআঘাতের চিহ্ন। কয়েকটি হাড় ভাঙা। মাথা ন্যাড়া করানো। পূর্ব ফ্রান্সে এক জার্মান নাগরিকের শোয়ার ঘর থেকে তাঁর স্ত্রীকে এ ভাবেই উদ্ধার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, গত ১২ বছর ধরে স্ত্রীকে শোয়ার ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন ওই জার্মান ব্যক্তি। ঘরবন্দি অবস্থায় স্ত্রীকে বার বার ধর্ষণ করার পাশাপাশি লাগাতার অত্যাচার চালিয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জার্মান পুলিশের থেকে খবর পেয়ে পূর্ব ফ্রান্সের ফোরবাখ এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে হানা দেন তারা। সেখানকার শোয়ার ঘরে ৫৩ বছরের এক জার্মান মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এর পর ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ‘বিএফএমটিভি’-র কাছে পুলিশ জানিয়েছে, জার্মানির সীমান্তঘেঁষা ওই এলাকায় দম্পতির শোয়ার ঘরের জানলাগুলি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা ছিল। বন্দিদশায় থাকাকালীন কোনও ভাবে মোবাইলে জার্মান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন ওই মহিলা। জার্মান প্রশাসনের থেকে সে খবর জানতে পেরে অভিযানে নামে ফ্রান্সের পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ছাড়াও বর্বরোচিত অত্যাচারের অভিযোগ করা হয়েছে।