প্রতীকী ছবি।
স্বজন হারিয়ে শোক নয়, আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন আত্মীয়রা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সৎকারেও ‘অনীহা’ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কেন? স্বজন হারিয়ে কেনই বা আতঙ্কিত হচ্ছেন আত্মীয়েরা, কেনই বা শেষকৃত্যের জন্য এগিয়ে আসছেন না? কোথায়ই বা এমন ঘটনা ঘটছে?
এমন ঘটনা ঘটছে কানাডায়। সেখানে এখন স্বজনের মৃত্যু যেন পরিবারের কাছে ‘বোঝা’ হয়ে উঠছে! শোকপালন করছেন ঠিকই, কিন্তু সৎকার করতে খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডায় এই অদ্ভুত আবহের সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র সৎকারের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে।
একটি সৎকারের জন্য এই দেশের কোথাও কোথাও খরচ করতে হচ্ছে ২৭-৩০ লক্ষ টাকা! খরচ জোগাতে না পেরে প্রিয়জনদের মরদেহ নিতে চাইছেন না অনেকে। ফলে কানাডার কয়েকটি প্রদেশে গত কয়েক বছরে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বেড়েছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওতে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা ২০২৩ সালে হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন অন্টারিওর এক শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা ডার্ক হুয়ার। তিনি জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মৃতদের আত্মীয়দের খুঁজে বার করতে হচ্ছে। যদিও খুঁজে পাওয়া গেল, তাঁরা সেই দেহ নিতে চাইছেন না। ডার্ক জানিয়েছেন, বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বৃদ্ধির সবচেয়ে প্রধান কারণ হল বিপুল খরচ। অনেকেই স্বজনের দেহের সৎকার করতে চাইছেন না। তাঁর কথায়, “এটি সত্যিই দুঃখজনক যে, স্বজনের মৃত্যুর পরেও তাঁর দেহ নিতে আত্মীয়েরা, পরিবার-পরিজনেরা অস্বীকার করছেন।”
জায়গা ভেদে আবার সৎকারের খরচের বহর বাড়ছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিডটাউন টরন্টোয় সৎকারের খরচ ২৭ লক্ষেরও বেশি। সেই খরচ আবার ৩০ লক্ষ পর্যন্ত উঠেছে বলেও ওই প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে।