সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। — ফাইল চিত্র।
সিরিয়ায় সদ্য পতন হয়েছে ২৪ বছরের আসাদ-সাম্রাজ্যের। সপরিবার সিরিয়া ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। কিন্তু রেখে গিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি, নানা বহুমূল্য গাড়ি, ঢালাও সোনাদানা এবং নগদ টাকা! নানা সূত্র বলছে, একাই প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন তিনি! গাড়ি, বাড়ি ছাড়া আর কী কী ছিল বাশারের ভান্ডারে?
সিরিয়ার ৯০ শতাংশ মানুষই চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে জীবনধারণ করেন। তা সত্ত্বেও বাশারের প্রাসাদে কোনও কিছুর কমতি ছিল না। রাজকোষে ছিল ২০০ টন সোনা। এ ছাড়াও সব মিলিয়ে এক হাজার ছ’শো কোটি ডলার এবং পাঁচশো কোটি ইউরো মূল্যের সম্পদের মালিক ছিলেন তিনি, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকার সমান। সৌদির সংবাদপত্র আইলাওয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, একটি ব্রিটিশ তদন্তকারীদের সমীক্ষা ‘এম ১৬’-এর তথ্য বলছে, বাশারের সংগ্রহে ছিল রোল্স রয়েস, ফেরারি, মার্সিডিজ় বেঞ্জ, অডি, অ্যাস্টন মার্টিন-এর মতো নানা দামি গাড়ি। দামাস্কাসে বিলাসবহুল একটি প্রাসাদও ছিল তাঁর। প্রাসাদের দেওয়াল মোড়া ছিল স্বর্ণখচিত সাজসজ্জায়। ছিল বহুমূল্য আসবাবপত্রও।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে সিরিয়ায় দুই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে উপর্যুপরি আক্রমণে পিছু হটতে হয় আসাদ সরকারকে। রবিবারই নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার। সপরিবার আশ্রয় নেন বন্ধু দেশ রাশিয়ায়। তবে খালি হাতে নয়! নানা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি, পালানোর সময়েও সঙ্গে বেশ কিছু সোনা এবং টাকা নিয়ে গিয়েছেন বাশার!
প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক দশকের বাথ শাসনের যুগ শেষ হয়েছে। দামাস্কাসের পতনের পর সিরিয়ার শেষ বাথ প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আল-জালালি শাসনভার তুলে দিয়েছেন বিদ্রোহীদের হাতে। আপাতত সেখানে দায়িত্ব নিতে চলেছে তদারকি সরকার। তদারকি সরকারের প্রধান হতে চলেছেন মহম্মদ আল-বশির।