ফ্রান্সের কলেজে ভর্তি হতে গেলে ফরাসি ভাষা জানা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
আগামী তিন বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্তত ২০,০০০ ভারতীয় পড়ুয়া যাতে ফ্রান্সকেই বেছে নেয়, সেই লক্ষ্য রয়েছে সে দেশের সরকারের। বুধবার ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী ক্যাথেরিন কলোনা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের মধ্যে ফ্রান্সে কমপক্ষে ২০,০০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাশী আখ্যা দিলেও তা পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করছে ফরাসি সরকার।
তিন দিনে ভারত সফরে দিল্লিতে এসেছেন ক্যাথেরিন। বুধবার রাজধানীর একটি বেসরকারি কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেন তিনি। এর পর সংবাদমাধ্যমে ক্যাথেরিন বলেন, ‘‘২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য এ দেশের ২০,০০০ পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। চলতি বছরে পাঁচ হাজার পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের। এটি অত্যন্ত উচ্চাশী লক্ষ্য, তবে ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে এ ক্ষেত্রে অপার সুযোগ রয়েছে।’’ক্যাথেরিন জানিয়েছেন, অতিমারির আগে ২০১৯ সালে পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া ফ্রান্সে থেকে তাঁদের উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন। চলতি বছরেরও একই সংখ্যক পড়ুয়া যাতে ফ্রান্সে আসেন, তা-ই চায় ফরাসি সরকার।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ৬৫,০০০ ভারতীয় অভিবাসী ফ্রান্সে বসবাস করছেন বলে রিপোর্টে দাবি। তাঁদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য সে দেশে রয়েছেন হাজার ছয়েক পড়ুয়া। যদিও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্রিটেন বা আমেরিকা-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ফ্রান্স-যাত্রার ঝোঁক কম বলে দাবি। মূলত, ভাষার সমস্যাই সে ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ফ্রান্সের কলেজগুলিতে ভর্তি হতে গেলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার ফরাসি ভাষা জানা জরুরি। সে জন্য তাঁকে টিসিএফ এবং সিইফ পরীক্ষা দিতে হয়। যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থাৎ ফ্রান্সের ৮২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি লাভের জন্য সে বাধ্যবাধকতা নেই। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ার ইংরেজি ভাষায় দখল থাকলেই হবে।
সূত্রের খবর, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য মোটামুটি ভাবে বছরে যথাক্রমে ১৩,৫০০ ও ২১,০০০ টাকা টিউশন ফি লাগে। অন্য দিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি পেতে হলে তা দাঁড়ায় ফি-বছরে কমপক্ষে ৫০,০০০ টাকা। মেডিক্যাল ডিগ্রির ক্ষেত্রে তা প্রতি বছরে ৩৬,৫০০ টাকা।