গত কয়েক দিনে একের পর এক রুশ অধিকৃত অঞ্চল থেকে মস্কোর বাহিনীকে উৎখাত করেছে ইউক্রেনীয় সেনা। বুধবার এমনই এক শহর ইজুম পরিদর্শনে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রয়টার্স।
ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা করে রাশিয়াকে একঘরে করার জন্য ভারতের উপর চাপ তৈরি করল ফ্রান্স। বুধবার ভারত এবং ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের পর এমনটাই জানা গিয়েছে।
আজ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা। কোলোনা সেখানে বলেন, “রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা শুধু ইউক্রেনবাসীর কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছেই গভীর উদ্বেগের বিষয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের কাছ থেকেই এই আক্রমণ এল। তারা আন্তর্জাতিক সহাবস্থান ও শান্তির নীতিকে দুর্বল করছে। বিশ্ববাসীর কাছে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্কের ইতিহাস আমরা জানি। কিন্তু কার্যকারণ ব্যাখ্যা করে আমরা দেখতেই পারি, কী ভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করা যায়।” জয়শঙ্কর ভারতর অবস্থান তুলে ধরে এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। হিংসা বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনা এবং কূটনীতির রাস্তায় ফিরে আসার কথা ধারাবাহিক ভাবে বলে আসছি।”
রাশিয়ার পাশাপাশি অবশ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গা-জোয়ারি নীতির জন্য চিনকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন কোলোনা। বলেছেন, “আমরাও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অংশ এবং চিন আমাদের সবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তারা ভারসাম্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”
ভারত এবং ফ্রান্সের তরফে পারস্পরিক কৌশলগত সহযোগিতার পরিধি বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করে তোলার চেষ্টা হবে বলে আজ জানানো হয়েছে। বিশ্বে তৈরি হওয়া খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলাতেও ভারত এবং ফ্রান্স সদর্থক ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছন কোলোনা। মোদী কোলোনার সঙ্গে একটি ছবি টুইট করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন। কোলোনার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘বন্ধু’, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁকেও।