লাস ভেগাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি রয়টার্স।
আইওয়া এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারের পরে এ বার নেভাডা। প্রাক্ নির্বাচনী পর্বে আরও একটি ককাসে বিপুল জয় পেলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই প্রদেশের রিপাবলিকান পার্টির ২৬ জন প্রতিনিধি ট্রাম্পকেই আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় পদপ্রার্থী হিসেবে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে। গত কাল নেভাডা ককাসে এই বিপুল জয়ের পরে লাস ভেগাসে সমর্থকদের সামনে বক্তৃতা দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই জনসভায় তিনি বলেছেন, “এই প্রদেশে আমরা জয় পেলে নভেম্বরের নির্বাচনে খুব সহজেই জয় পাব।” অর্থাৎ নেভাডার ভোট তাঁর দলের ক্ষমতায় আসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
আগামী নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে কয়েক মাস ধরে চলে প্রাথমিক নির্বাচনী পর্ব। কয়েক সপ্তাহ আগে আইওয়া এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রদেশে রিপাবলিকান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ট্রাম্পকেই বেছেছিলেন ওই সব প্রদেশের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্টের দৌড় থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিপাবলিকান নেতা বিবেক রামস্বামী এবং ফ্লরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। ফলে নভেম্বরের নির্বাচনে রিপবালিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শুধু রয়েছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী নিকি হ্যালি।
নিকি অবশ্য গত কাল নেভাডার ককাসে অংশ নেননি। তাঁর বক্তব্য, ট্রাম্প যে সেখানে কারচুপি করে জিতেছেন, তা স্পষ্ট। তবে নেভাডার যে সব এলাকায় গোপন ব্যালটে প্রাথমিক নির্বাচন হবে, সেখানে নিকি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন। ককাস হল দলীয় প্রতিনিধিদের আলোচনা বা বৈঠক, যেখানে প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে কথা বলে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নিকির নিজের কেন্দ্র সাউথ ক্যারোলাইনায় প্রাথমিক নির্বাচন রয়েছে। এক সময়ে সেখানকার গভর্নর ছিলেন নিকি। তবে সেখানেও এখন নিকির থেকে ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় অনেকখানি এগিয়ে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা। তবে নিকি নিজের জয় নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তিনি গত কালই একটি আমেরিকান টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ২০২৪ সালেই এই দেশ প্রথম বারের জন্য কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে। আমি অথবা কমলা হ্যারিস।’’
সংবাদ সংস্থা