ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন ডোনান্ড ট্রাম্প। আমেরিকার একটি আদালত রায় দিয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনে লড়ার যোগ্য নন। ফলে আগামী বছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে বড় বাধার সামনে পড়লেন তিনি।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটলে ট্রাম্পের সমর্থকরা হামলা চালায়। সেখানে ট্রাম্পের যে ভূমিকা ছিল, তার জেরেই এই রায় দিয়েছে কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্ট। আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হল।
যদিও আদালতের এই নির্দেশ শুধু আগামী ৫ মার্চ কলোরাডোর প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু অনেকেই মনে করছেন এর প্রভাব ৫ নভেম্বর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও পড়বে। সেই নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে বড় বাধার সামনে পড়তে হবে।
আমেরিকার সংবিধানের যে ধারা অনুযায়ী ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত, সেই ধারা এখনও পর্যন্ত খুব কম প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু পার পেলেন না প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
ট্রাম্পের মুখপাত্র আদালতের এই রায়কে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও তাঁরা ভাবছেন বলে জানানো হয়েছে। ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা খুব শীঘ্রই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। এই গণতান্ত্রিক নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’’ ৪ জানুয়ারির মধ্যে ট্রাম্পকে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে।
কলোরাডোর ভোটারদের একাংশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে আদালত। ওই ভোটারদের সমর্থন করে ‘সিটিজেন্স ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন’ নামে একটি সংগঠন। আদালতের কাছে তারাও আবেদন জানায়, ক্যাপিটলে হামলার নেপথ্যে ট্রাম্পের প্ররোচনা ছিল। তাদের দাবি ছিল, সেই কারণে ট্রাম্পকে আমেরিকার নির্বাচন থেকে বাদ দিতে হবে।