নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিতে আসা বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিতে আসা বিমানে আবার প্রস্রাবকাণ্ড। এক ছাত্র ঘুমন্ত অবস্থায় আসনে বসেই প্রস্রাব করে ফেলেন বলে অভিযোগ। যা গড়িয়ে পড়ে এক সহযাত্রীর গায়ে। ওই ছাত্র নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের দিল্লিগামী বিমানের ঘটনা। শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে রাত ৯টা ১৬ মিনিটে বিমানটি ওড়ে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তা এসে পৌঁছয় শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি মত্ত অবস্থায় বিমানে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মাঝ আকাশে ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রস্রাব করে ফেলেন তিনি। তা গড়িয়ে গিয়ে পড়ে পাশে বসা এক ব্যক্তির গায়ে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিমানকর্মীদের ডেকে বিষয়টি জানান।
তবে ওই ব্যক্তি অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। অভিযুক্ত যুবক তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। ছাত্রটির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বড় কোনও পদক্ষেপ করতে চাননি সহযাত্রী।
যদিও বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেননি বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমানকর্মীরা প্রথমে ছাত্রের কীর্তি পাইলটকে জানান। তিনি দিল্লি বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। দিল্লিতে বিমানটি নামলে অভিযুক্ত ছাত্রকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশ।
অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও যাত্রী যদি বিমানে আপত্তিজনক আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন, তবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁর বিমানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এ ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযুক্ত হয়েছে। ভারতীয় ছাত্রকে নিষিদ্ধ করেছে বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স।
কিছু দিন আগে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। তিনিও নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। সঞ্জয় মিশ্র নামে সেই যাত্রীকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিমানে যাতাযাতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে সঠিক সময়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আমেরিকান বিমান সংস্থা সে পথে হাঁটল না। তারা ঘটনার পর পরই কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের কীর্তি সম্পর্কে অবহিত করে এবং তাঁর শাস্তি নিশ্চিত করেন।