ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
আইনি ঝক্কি পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তিনি নাকি নিয়ম মেনে বিয়ে করেননি তাঁর বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবিকে। এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বুশরার প্রাক্তন স্বামী খওয়ার ফরিদ মানেকা। শনিবার মানেকা বছর একাত্তরের ইমরান এবং প্রাক্তন স্ত্রী, বছর পঞ্চাশের বুশরার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ডন’-এর একটি প্রতিবেদন এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
মানেকার বক্তব্য, পাকিস্তানের আইন মেনে বিয়ে করেননি ইমরান। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বুশরার প্রাক্তন স্বামীর অভিযোগ, তাঁর বিবাহিত জীবনকে পরিকল্পনামাফিক নষ্ট করেছেন ইমরান। আদালতের কাছে তাই দু’জনের জন্য উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। মানেকার বক্তব্য শোনার পর ইমরানের বিবাহের তিন সাক্ষীকে ডেকে পাঠিয়েছে আদালত। যদিও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর বক্তব্য, রাজনৈতিক স্বার্থে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করার চেষ্টা করছে শাসকদল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমএল(এন)।
ইমরান এখন জেলবন্দি। গত অগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের জেলের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ অভিযুক্ত হওয়ায় অটক জেল থেকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী মুক্তি পাননি। তোশাখানা দুর্নীতির অভিযোগের সূত্রপাত গত বছর ইমরান ক্ষমতা হারানোর পরে। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে ইমরানের উপহার পাওয়া ঘড়ি তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, ২০১৯ সালে যখন ইমরানের দল পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় ছিল, তখন সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন তাঁকে ওই বহুমূল্য ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন।
গত ৫ অগস্ট ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেলের শাস্তি ঘোষণার পরই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এর পর পাক আইন মেনে সে দেশের নির্বাচন কমিশন পিটিআই-এর চেয়ারম্যান ইমরানের পাঁচ বছর ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদ হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল।