চিংড়িঘাটায় অভিযুক্তকে দেখতে পেয়ে মারমুখী জনতা। ছবি: সংগৃহীত।
চিংড়িঘাটায় যুবক খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত এলাকা। পুলিশকে কেন্দ্র করে জনতার বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। খুনে অভিযুক্ত সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও সেই যুবকই মূল অভিযুক্ত কি না, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
পুলিশের সামনেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। অভিযোগ, অভিযুক্ত বিট্টু সর্দার একটি ট্যাক্সিতে ছিলেন। ট্যাক্সি আটকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশের পাহারায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে চিংড়িঘাটার বাসন্তী দেবী কলোনি এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানে সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় যুবক সাহেব আলির সঙ্গে বিট্টু ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন সাহেব। তার জেরেই প্রকাশ্য রাস্তায় সাহেবকে কাঁচি দিয়ে কোপান বিট্টু। তাঁর গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
অভিযুক্ত বিট্টুকে নিয়ে আগে থেকেই এলাকায় ক্ষোভ ছিল। শনিবারের ঘটনা তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। রাতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বিট্টু। রবিবার সকাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। অভিযোগ, এর আগে একাধিক অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন বিট্টু। তাঁকে আগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আবার এলাকায় ঢোকেন তিনি।
শনিবারের ঘটনার পর পুলিশ বিট্টুর খোঁজ করছিল। তখনই আচমকা এলাকায় একটি ট্যাক্সির ভিতরে বিট্টুকে দেখতে পান স্থানীয়েরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন উন্মত্ত জনতা। যে যা সামনে পেয়েছেন, তা দিয়েই মারধর করেছেন অভিযুক্তকে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। এর আগেও বিট্টুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। শনিবার রাতের ঘটনা স্বতন্ত্র। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’