শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত ১৬ জুলাই পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে মৃত্যু হয়েছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের। গোটা বিশ্ব দেখেছিল সেই দৃশ্য। এ বার আরও এক আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। মঙ্গলবার ঢাকার আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন সাঈদের এক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ এমএস আমির হামজা।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে এক মুদি দোকান মালিকের মৃত্যুর ঘটনায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছেন হাসিনা-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে। ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-সহ বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিবেদনে এমনই প্রকাশ করা হয়েছে।
বিডি নিউজ় ২৪ ডট কম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলা দায়ের হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপির প্রাক্তন কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহম্মদ হারুন অর রশীদ এবং যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। সেই আন্দোলনে তিনশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র সাঈদ। গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের রাবার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট বাঁশের লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে পুলিশের উদ্যত বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশের বন্দুক থেকে ছুটে আসা পর পর রাবার বুলেটের আঘাতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই মিনিটখানেকের ভিডিয়ো ক্লিপ তরান্বিত করেছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতন।
দেশ জুড়ে চলা সেই আন্দোলনে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। দেশত্যাগের পর এই প্রথম হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল।