৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। ছবি: পিটিআই
এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টির ফলে পাকিস্তানের একাধিক এলাকা বন্যার জলে ডুবে। বন্যায় জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বন্যা পরিস্থিতিতে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। ওই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ১২৬ জন মারা গিয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু।
এমনিতেই দেশের অর্থিক পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে শাহবাদ শরিফের সরকার। তার উপর হাজির বন্যা। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শরিফ বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কাতারে রয়েছেন। দেশের আর্থিক দুরাবস্থা কাটিয়ে তোলার জন্য আরব দেশগুলির কাছে বিনিয়োগ বা ঋণ হিসাবে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তান এবং পঞ্জাব প্রদেশে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার স্কুল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে এই দু’টি অঞ্চলই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। কবরস্থানগুলিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে পরিজনের দেহ কবর দিতে গিয়েও সমস্যার সমস্যা মুখে পড়ছেন অনেকে। এলাকায় না দিয়ে দেহ নিয়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে কবর দেওয়ার জন্য।
জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে বর্ষা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। আবহাবিদেরা জানাচ্ছেন, আগামী দু’সপ্তাহ সেখানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সিন্ধ প্রদেশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১০ সালের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি এ বার। বন্যার ফলে ১২৯টি সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর ফলে খাদ্য সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে।