বন্যায় বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স। ছবি: রয়টার্স।
প্রবল বন্যায় কার্যত লন্ডভন্ড ফিলিপিন্স। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু সে দেশের বন্যায় ইতিমধ্যেই একান্ন জন মারা গিয়েছেন। সে দেশের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ উনিশ জন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের সকলকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির বাসিন্দারা। কিন্তু সমুদ্রের সুউচ্চ ঢেউ এসে ভাসিয়ে দিয়ে যায় দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিকে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ফিলিপিন্সের অন্যরকম দ্বীপ মিনডানাওয়ের একটি প্রদেশে সমুদ্রের জলের সঙ্গে বয়ে আসা কাদা বাড়িঘর কার্যত ঢাকা পড়ে গিয়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ফিলিপিন্সের সমুদ্র তীরবর্তী গ্রাম ক্যাবল-অ্যানোনানের সমস্ত বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
মৃতদের অধিকাংশই জলে ডুবে এবং বাড়ি চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই বন্যায় দেশের ৬ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্তত ৯ হাজার মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছে। বন্যায় দেশের নানা প্রান্তে প্রায় ৫ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বহু সেতু, রাস্তাঘাট। দেশের ২২টি শহরকে ‘দুর্যোগগ্রস্ত’ বলে স্বীকার করে নিয়েছে ফিলিপিন্স প্রশাসন। উদ্ধারকাজে গতি আনতে রাজধানী ম্যানিলা থেকে উদ্ধারকারী দলকে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীও পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশদেই মৎস্যজীবী। তাঁদের খোঁজে গভীর সমুদ্রে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। কিছু মাছ ধরা নৌকার সন্ধান পাওয়া গেলেও, নিখোঁজদের কারও সন্ধান মেলেনি। ফিলিপিন্সের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ঘূর্ণবাতের কারণে গত সপ্তাহে দেশে প্রবল বর্ষণ হওয়ার কারণের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।