বর্ষবরণের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর কুড়ির ওই তরুণী। ফাইল চিত্র।
মৃতার পরিবারে হাহাকার। সব পক্ষই দুষছে ওই গাড়িচালককে। এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে বর্ষবরণের ভোরে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রেক্ষিতে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়, মন্তব্য করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) ভিকে সাক্সেনা। দুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর মা জানিয়েছেন, রাত ৯টা নাগাদ মেয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর। মেয়ে বলেছিলেন রাত ৩-৪টে বাজবে তাঁর বাড়ি ফিরতে।
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর টুইটে লিখেছেন, অভিযুক্তদের এমন অমানবিক আচরণ দেখে লজ্জায় তাঁর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও এ ব্যাপারে তাঁর নিত্য যোগাযোগ আছে বলে জানিয়েছেন এলজি সাক্সেনা। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণী অনুষ্ঠান পরিকল্পকের (ইভেন্ট প্ল্যানার) কাজ করতেন। তরুণীর মায়ের দাবি, বর্ষবরণের রাত ৯টা নাগাদ তাঁর শেষ বার মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সংবাদ সংস্থার দাবি, তখন মেয়ে মাকে জানান, তাঁর বাড়ি ফিরতে রাত ৩-৪টা হবে। সকালে তিনি পুলিশের ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন। মৃতার মায়ের অভিযোগ, তাঁকে থানায় গিয়ে অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছিল।
বর্ষবরণের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর কুড়ির ওই তরুণী। সুলতানপুরীর কাছে একটি মারুতি সুজ়ুকি বালেনো গাড়ি ধাক্কা দেয় স্কুটিতে। রাস্তায় পড়ে যান তরুণী। তখনই গাড়ির চাকার একটি অংশ জড়িয়ে যায় তাঁর শরীরের একটি অংশ। সেই অবস্থাতেই প্রায় ১২ কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। পোশাকের পাশাপাশি তরুণীর শরীরের পিছনের অংশ চিরে ফালাফালা হয়ে যায়। রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ওই তরুণীকে বাঁচানো যায়নি। ঘাতক গাড়ির ৫ সওয়ারিকেই পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বর্ষবরণের রাতে রাজধানীর রাজপথে এমন ঘটনা ঘটে গেল অথচ পুলিশ টেরও পেল না! এ বার এই বিষয়েই মুখ খুললেন দিল্লির এলজি। সব রকম ভাবে সরকার ও প্রশাসন মৃত তরুণীর পরিবারের পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।