চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি সৌজন্যে রয়টার্স।
বাংলাদেশে সোমবার থেকে সাতদিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে। সেই কারণেই হয়তো অন্যান্য দিনের তুলনায় লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল লঞ্চটি। কয়েক জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বেশিরভাগ যাত্রীই নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বাকি ৭ জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জানা গিয়েছে, ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছিল লঞ্চটি। এমভি রাবিত আল হাসান নামের ছোট দোতলা লঞ্চটির বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা। মুক্তারপুর সেতুর কাছে লঞ্চটি ডুবে যায়। ডোবার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত ডুবে যাওয়া লঞ্চের ২৬ যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই মহিলা। মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক কবির হুসেন জানিয়েছেন, ঠিক কতজন ওই লঞ্চে ছিলেন, তা জানা যায়নি। সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি যাত্রী ওই লঞ্চে উঠলে সমস্যা হতে পারে। দেখে মনে হচ্ছে একশোর বেশি যাত্রী ছিলেন। আর তার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যে কয়েক জন বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, মুক্তারপুর সেতুর কাছে কোনও কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগে লঞ্চটির। ধাক্কা লাগার পরেই তাঁরা কোনও রকমে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ মারেন। তারপর সেতুর পিলার ধরে কিছুক্ষণ ভেসে থাকেন। অবশেষে উদ্ধারকারী দল এসে তাঁদের উদ্ধার করে। চোখের সামনে লঞ্চটি ডুবে গেলেও তাঁরা কিছু করতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন।