Chhattisgarh

২২ জওয়ানের প্রাণ কেড়েছে তার দল, কে এই মাওবাদী নেতা হিডমা

ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুর সীমানার জাগারগুণ্ডা-জোড়াগুণ্ডা-তারেমে মাওবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন জওয়ান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

সুকমা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২১ ১০:৫৩
Share:

হিডমার নেতৃত্বেই জওয়ানদের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুর সীমানার জাগারগুণ্ডা-জোড়াগুণ্ডা-তারেমে মাওবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন জওয়ান। আহত হয়েছেন আর়ও ৩১ জন জওয়ান। কার নেতৃত্বে এই হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা? গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে সেই মাওবাদী নেতার নাম।

Advertisement

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে, মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিলেন জওয়ানরা। মাওবাদী নেতা হিডমা, যাকে ধরার চেষ্টা চলছে বহু দিন ধরে, সে ওই এলাকায় রয়েছে, এমনই খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। হিডমার উপস্থিতি ও মাওবাদীদের গতিবিধির খবর পেয়ে রবিবার ভোরে অভিযানে নামে সিআরপিএফ, কোবরা, ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও অন্য বাহিনীর ১৫০০ জওয়ান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালাতে ওত পেতে বসেছিল হিডমার নেতৃত্বধীন মাওবাদীদের একটি দল। জাগারগুন্ডা-জোঙ্গাগুড়া-তারেমের একটি এলাকায় ৭৯০ জন জওয়ানের একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় মাওবাদীরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। এতেই মৃত্যু হয়েছে জওয়ানদের। সেই লড়়াইয়ে ২৫-৩০ জন মাওবাদীও নিহত হয়েছে বলে দাবি জওয়ানদের।

কে এই হিডমা?

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রধান এই হিডমা। তার বয়স ৪০ বছর মতো। ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলার জনজাতি অধ্যুষিত পুবর্তী গ্রামের বাসিন্দা সে। নয়ের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের সঙ্গে। মাওবাদী ব্যাটেলিয়নের প্রধান হিসাবে মহিলা-সহ প্রায় ১৮০ থেকে ২৫০ জনের দলকে নেতৃত্ব দেয় সে। মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য বিশেষ আঞ্চলিক কমিটিরও সদস্য সে। গোয়েন্দাদের দাবি, সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সবথেকে তরুণ সদস্য এই হিডমা। তার সম্বন্ধে খোঁজ দিতে পারলে ৪০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে তার সাম্প্রতিক কালের কোনও ছবিই নাকি পাওয়া যায় না। ভীম মাণ্ডবী খুনের মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে মাওবাদী দমন অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ইতিমধ্যেই বহু এলাকা থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গলে জমি ফিরে পেতে অনেক সময় পাল্টা হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই হামলার পোশাকি নাম ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেনসিভ ক্যাম্পেন (টিসিওসি)। সুকমা-বিজাপুর সীমান্তের ওই এলাকায় নিজেদের জমি ধরে রাখতে হিডমার নেতৃত্বে মাওবাদীদের বিশাল একটি দল ওৎ পেতে বসেছিল। জওয়ানরা অভিযানে এলে তাদের সঙ্গে শুরু হয় লডাই। সেই সংঘর্ষেই প্রাণ গিয়েছে জওয়ানদের। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ট্যাকটিক্যাল কাউন্টার অফেনসিভ ক্যাম্পেন চালিয়েছিল মাওবাদীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement